এইমাত্র পাওয়া

তরুণ প্রজন্মের শ্রবণশক্তি কমে যাচ্ছে

লেলিন চৌধুরী: কানে হেডফোন লাগিয়ে গান বা অন্যকিছু শোনা কমবয়সীদের প্রিয় অভ্যাস। এটি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সবদেশের সাধারণ বাস্তবতা। সবাই হেডফোন বা এয়ারবাডে সাধারণত উচ্চমাত্রার শব্দ ব্যবহার করে। হেডফোনে গান ইত্যাদি উচ্চশব্দে শুনলে কতোগুলো ক্ষতি হয়। এগুলো হচ্ছে-কানে ঝিঁঝি শব্দ, কান ঝিমঝিম, কান ব্যথা, মাথাব্যথা, মাথাঘোরা,বিরক্তিভাব,কানে কম শোনা এবং সর্বোপরি বধির বা বয়ড়া হয়ে যাওয়া।

আগামী বিশ বছরের মধ্যে বিশ্বে প্রতি ৫ জন কমবয়সীর মধ্যে অন্তত ১ জন কমবেশি বধিরতায় ভুগবে। তাহলে কি হেডফোনে কিছু শোনা যাবে না?

শোনা যাবে তবে মাত্রাতিরিক্ত নয়। মাত্রাটি হচ্ছে দিনে ৬০ মিনিট হেডফোন ব্যবহার করা যাবে এবং শব্দমাত্রা সর্বোচ্চ মাত্রার ৬০ শতাংশ হবে। একে ৬০-৬০ নিয়ম বলা হয়। হেডফোনে শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবল (শব্দের মাত্রা পরিমাপের একক)-এর মধ্যে থাকলে ভালো হয়।

আমাদের সন্তানদের স্ক্রিনটাইম( মোবাইল,ল্যাপটপ ইত্যাদির পর্দায় তাকিয়ে থাকার সময়) বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে তাদের চোখে চশমা লাগছে, তেমনি হেডফোনটাইম(কানে হেডফোন/এয়ারবাড ব্যবহারের সময়) বেড়ে যাওয়ায় তাদের কানে হিয়ারিং এইড(কানে শোনার যন্ত্র) লাগাতে হচ্ছে। দিনে দিনে এই সংখ্যা বাড়তে থাকবে। তাই সচেতন ও সাবধান হওয়ার সময় এখনই।

লেখক: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৬/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.