পটুয়াখালীঃ র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন সত্ত্বেও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. কেরামত আলী হলে অবস্থানরত স্নাতক প্রথম বর্ষ (২০২৩-২৪ সেশন) এর শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। এতে তিন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দিবাগত গভীর রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. কেরামত আলী হলে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র্যাগ দেওয়া হয়। র্যাগিং চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করেই অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
র্যাগিংয়ের খবর পেয়ে এম. কেরামত আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী প্রভোস্ট ড. মিজানুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর মো. আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাগিংয়ের সাথে যুক্ত দুজনকে কম্বল মুড়ি দিয়ে থাকা অবস্থায় হাতেনাতে ধরেন এবং ক্যান্টিনে গিয়ে চারজনকে র্যাগিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এ পর্যন্ত পবিপ্রবি প্রশাসন থেকে পাওয়া বক্তব্য অনুযায়ী ২০২২-২৩ সেশনের ৭ শিক্ষার্থী এ কাজে জড়িত বলে নিশ্চিত করেছেন।
পরিস্থিতি অনুযায়ী অসুস্থ তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় রাতেই তাদেরকে দুমকি উপজেলা হাসপাতাল নেন। সেখান কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর জন্য বলেন এবং রাতেই তাদেরকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, এ পরিস্থিতি একেবারেই কাম্য নয়। উক্ত ঘটনার সাথে যে বা যারা যুক্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এমন পরিস্থিতি যেন পরবর্তীতে আর না ঘটে এজন্য পবিপ্রবি প্রশাসন আরো ও অধিক তৎপর হবে এবং এ জন্য সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
উক্ত ঘটনায় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. কাজী রফিকুল ইসলাম রবিবার সকালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরজমিনে গিয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নিয়ে সর্বোচ্চ সু-চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন, র্যাগিংয়ের সাথে যারা যুক্ত আছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/১১/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.