এইমাত্র পাওয়া

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ: প্যানেলে ফলাফল প্রকাশের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩ এর প্রথম ধাপে (বরিশাল, রংপুর,সিলেট) বৈষম্য নিরসন ও চলমান শূন্যপদ পূরণ সাপেক্ষে প্যানেলে ফলাফল প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নিয়োগ প্রত্যাশীরা।

রাজধানীর মিরপুরে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন- প্রথম ধাপের শূন্য পদের সাপেক্ষে প্যানেলে নিয়োগ প্রত্যাশীরা। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপে বৈষম্য নিরসন ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের থেকে চলমান শূন্যপদ পূরণের দাবিতে স্মারকলিপিও পেশ‌ করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপে বেশ কিছু গুরুতর অনিয়ম ও বৈষম্য লক্ষ্য করা গেছে। এ বৈষম্যের কারণে অসংখ্য মেধাবী নিয়োগবঞ্চিত হয়েছে। আমরা এই বৈষম্যের একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।

প্রথম ধাপে আবেদন করে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন ও চূড়ান্ত নিয়োগ পান ২ হাজার ৪৯৭ জন। দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ৬৪৭ জন। চূড়ান্ত নিয়োগ পান ৫ হাজার ৪৬ জন।

তৃতীয় ধাপে আবেদন করে ৩ লাখ ৪০ হাজার জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন। শোনা যাচ্ছে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হবেন ১০ হাজার জনের ওপরে। এই তথ্য থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, চূড়ান্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপের সঙ্গে বড় ধরনের বৈষম্য করা হয়েছে, যেখানে সব ধাপেই প্রায় সমানসংখ্যক পরীক্ষার্থী ছিল। শূন্যপদ পূরণ না করা প্রথম ধাপের সার্কুলারে উল্লেখ ছিল শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেখানে আমরা অধিদফতরে যাচাই করে দেখেছি প্রদত্ত শূন্যপদের বিপরীতে ৪০% ও নিয়োগ দেওয়া হয়নি, যা আমাদের সঙ্গে প্রহসন। এমনকি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিপত্র ও মানা হয়নি, যেখানে জরুরি ভিত্তিতে ৯০% রাজস্ব খাতভুক্ত পদ পূরণের কথা বলা হয়েছিল। ফলে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-শূন্য অবস্থায় রয়ে গেছে। এতে যথাযথ শিক্ষা প্রদানে ব্যাঘাত ঘটছে।

বহু শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও প্যানেল থেকে নামমাত্র ৫৪ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এতে মেধাবী প্রার্থীদের নিয়োগের সুযোগ হরণ করা হয়েছে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ২৪৯৭ জন প্রার্থীর প্রশাসনিক অনুমোদন পত্রের সঙ্গে ২ হাজার ৭৭২ জন অপেক্ষামাণ প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এর কোনো পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।

নিয়োগ প্রত্যাশীদের দাবিসমূহ হচ্ছে-

১. বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপে সংগঠিত সব ধরনের অনিয়ম ও বৈষম্যের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
২. মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা মেধাবী প্রার্থীদের থেকে শূন্য পদগুলো আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পূরণ করতে হবে। যেখানে সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩% মেধা ও ৭ পার্সেন্ট কোটায় নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. ২ হাজার ৭৭২ জনের অপেক্ষমাণ পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের বৈষম্য না ঘটে সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৯/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.