শরীফুজ্জামান আগা খানঃ
শেষ পর্যন্ত এ বছর আদৌ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে কিনা, তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ দেখা দিয়েছে। একের পর এক এমপিওভুক্তি ঘোষণার তারিখ আসছে; আবার সেই তারিখ পেরিয়েও যাচ্ছে।
জুলাই মাসে এমপিও কার্যকর করার কথা ছিল। জুলাই গেল। এরপর খবর বেরোল, ঈদের আগেই এমপিওভুক্তির ঘোষণা আসছে। ঈদ পেরোল। এখন আগস্ট মাসও পার হতে চলল। গত বছরও জুলাই থেকে এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রুতি ছিল; কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা গেল সেই প্রতিশ্রুতি সত্য নয়।
স্বীকৃতিকে মানদণ্ড ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার আদর্শ-রীতি থাকলেও এবারে স্বীকৃতির অতিরিক্ত এমপিও নীতিমালার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের মান নির্ধারণের কাজ চলছে। এতে করে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠেছে, জটিলতা দেখা দিয়েছে। সৃষ্ট জটিলতা ও নানামুখী চাপের ভেতর শিক্ষা মন্ত্রণালয় তালিকা প্রণয়নের কাজ করছে। অনলাইনে এমপিওভুক্তির আবেদন নেয়ার সময় বলা হয়, বিশেষ এক ধরনের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের মান নির্ধারণ করবে।
এখানে মানুষের কোনো হাত থাকবে না। তাহলে আবেদন গ্রহণের পর নিমিষেই প্রতিষ্ঠানের মান নির্ধারিত হওয়ার কথা। অথচ এক বছর হতে চলল; এখনও প্রতিষ্ঠানের মান যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এখন আর কম্পিউটার নয়, আমলারাই নানামুখী হিসাব-নিকাশ করছে। অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হয়, তালিকা প্রণয়ন করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে বাজেট স্বল্পতায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আওতায় এনে ধাপে ধাপে বেতন সম্পূর্ণ করার প্রস্তাব দেয়া হলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। সংসদে সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী এলাকার দায়বদ্ধতা থেকে এমপিওভুক্তির বিষয়ে সমাধান চাইলেও তাদের দাবি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। সন্দেহ নেই, এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বঞ্চিতদের কেউ কেউ হাইকোর্টে রিট করবেন। একটি বিক্ষুব্ধ অংশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকবেন। এত বছর পরও এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান আর হবে না।
এমপিওভুক্তির জন্য যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, তাতে নানা ধরনের ত্রুটি ও অসঙ্গতি রয়েছে। বাজেটে অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে কিছুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আওতায় এনে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে অযোগ্য প্রমাণ করাই এ নীতিমালার উদ্দেশ্য। নীতিমালায় সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য একই নিয়মনীতি অনুসরণ করা হয়নি।
তিন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য তিন দফায় নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতির বয়স, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাবলিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাসের হার- এ ৪টি সূচকে প্রতিষ্ঠানের মান যাচাই করা হয়েছে। প্রতিটি সূচকের মান ২৫। স্কুল-কলেজ এবং মাদ্রাসার ক্ষেত্রে কাম্য মান শুরু হয়েছে ১৫ থেকে। আর কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০ থেকে। এর নিচে নম্বর পেলে হিসাব আমলে নেয়া হয়নি। স্কুল-কলেজের ন্যূনতম পাসের হার ধরা হয়েছে ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ।
নীতিমালায় মফস্বলে নিুমাধ্যমিক (৬ষ্ঠ-৮ম) বালিকা বিদ্যালয়ের কাম্য শিক্ষার্থী ধরা হয়েছে ১২০ জন; অথচ মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ-১০ম) এ সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে ১০০ জন। মফস্বলে নিুমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (৬ষ্ঠ-৮ম) কাম্য শিক্ষার্থী ধরা হয়েছে ১৫০ জন। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (৬ষ্ঠ-১০ম) ২০০ জন। তাহলে মাধ্যমিক স্তরে (৯ম-১০ম) শিক্ষার্থী বাড়ছে ৫০ জন। নবম ও দশম শ্রেণির প্রতিটিতে গড় শিক্ষার্থী ২৫ জন। এ অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী হওয়া উচিত ২৫ জন। অথচ এখানে কাম্য পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ৪০ জন। একটি দাখিল মাদ্রাসা (১ম-১০ম) একবারে এমপিওভুক্ত হতে পারলেও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় একবারে এমপিওভুক্ত হতে পারে না। প্রথমবার নিুমাধ্যমিক (৬ষ্ঠ-৮ম) এবং পরবর্তী সময়ে মাধ্যমিক স্তর (৯ম-১০ম) এমপিওভুক্ত হয়।
একটি সাধারণ অভিযোগ হল, এলাকা বিশেষে অতিরিক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। এ অভিযোগ হয়তো মিথ্যা নয়। তবে অতিরিক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের দায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপরও বর্তায়। শিক্ষা বোর্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি না দিলে সেক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শর্ত শিথিল করেছে। যারা আইন প্রণয়ন করেছেন, তারাই সেই আইন মানেননি। অতিরিক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিযোগ জিইয়ে না রেখে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো এলাকায় অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে কিনা, এখন তা ঘরে বসেই জানা যায়।
কম্পিউটারে গুগল ম্যাপে গেলে সহজেই সমজাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দূরত্ব নির্ণয় করা সম্ভব। অতিরিক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝুলিয়ে না রেখে কীভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যায়, সে উপায় খুঁজে বের করতে হবে। স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালার ২ (খ) ধারায় বর্তমানে অনুমোদিত সব স্কুল-কলেজের ভৌগোলিক দূরত্বভিত্তিক ম্যাপিং এবং ভৌগোলিক দূরত্বে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলে তা প্রশাসনিকভাবে একীভূত করার কথা বলা হয়েছে; কিন্তু আমরা এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়ায় এ ধরনের কোনো উদ্যোগ লক্ষ করছি না।
অনুসন্ধানে এমন অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাওয়া যাবে, যেগুলো এমপিও নীতিমালায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি; কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে প্রয়োজন। বিদ্যমান বাস্তবতায় এসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হলে আর যোগ্য হয়ে উঠতে পারবে না।
এখন নীতিমালার মানদণ্ডে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাচাই করলে কেবল নন-এমপিও কেন, এমপিওভুক্ত ও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানও যাচাই করা হোক। দেখা যাবে, কয়েক হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নীতিমালার শর্ত পূরণ করে না। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও নীতিমালার শর্তে পাসের পর্যায়ে নেই। নীতিমালার প্রয়োগ ঘটাতে চাইলে সব শ্রেণির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর তা কার্যকর করতে হবে। তা না করে বেতনবঞ্চিত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নীতিমালার প্রয়োগ মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা-এর শামিল।
আবেদনকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতর কিছুসংখ্যক এক স্তর বিশিষ্ট এমপিওভুক্ত। এসব প্রতিষ্ঠান উচ্চতর স্তরে এমপিওভুক্তির আবেদন করেছে। আর একটি সংখ্যার কোনো স্তরই এমপিওভুক্ত না হওয়ায় দু’বার গণনায় এসেছে। কাজেই সম্পূর্ণ নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এত বেশি নয়। এক স্তর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খানিকটা আর্থিক সামর্থ্য থাকলেও সম্পূর্ণ নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দৈন্যদশার ভেতর টিকে আছে। এ কারণে যোগ্যতা বিচারে নিুমাধ্যমিক বিদ্যালয় (৬ষ্ঠ-৮ম) থেকে মাধ্যমিক স্তরের (৯ম-১০ম) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। বিশেষ বিবেচনায় একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমওিভুক্তি আলোচনায় আসছে। এ রকম পরিস্থিতিতে কোনো স্তরই এমপিওভুক্ত নয়- এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তত একটি স্তর এপিওভুক্তির দাবি রাখে।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বহুল কথিত উক্তি ছিল- এমপিওভুক্তি চলমান প্রক্রিয়া; অথচ তার মন্ত্রিত্বকালে এ প্রক্রিয়া থেমে থাকে। ফলে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জট তৈরি হয়েছে। এখন ৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আলোচনায় আসছে। তাহলে বাকি সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর বাইরে থেকে যাবে। অদূর ভবিষ্যতে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে এমপিওভুক্ত হবে, সে সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদস্থরা বলছেন, বাদপড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যোগ্য হয়ে উঠলে পরবর্তী সময়ে তারাও এমপিওভুক্ত হবে। দীর্ঘ ৯ বছর পরও এমপিওভুক্ত হতে না পারলে বঞ্চিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এ কথায় ভরসা পাবেন না। তারা চরমভাবে হতাশ হবেন। আর এ হতাশাগ্রস্ত শিক্ষকদের দিয়ে প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন করা সম্ভব হবে না। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যোগ্য হয়ে ওঠা নির্ভর করে প্রধানত যোগ্য শিক্ষকমণ্ডলীর ওপর। সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোও গুরুত্বপূর্ণ। এ দুটি বিষয় জোগান দেয়ার দায়িত্ব প্রধানত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। ম্যানেজিং কমিটি এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এমপিও নন-এমপিও নির্বিশেষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব নিয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি সুপারিশকৃত শিক্ষকের নিয়োগ প্রদান করতে বাধ্য। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগ পেলেও তিনি এমপিওভুক্ত হতে পারেন না। এক্ষেত্রে এনটিআরসিএ’র কাজটা কর্তব্যহীন দায়িত্ব পালনের মতো। মফস্বলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দূরের একজন নিবন্ধিত শিক্ষক দু-এক বছর বিনা বেতনে কিংবা নামমাত্র বেতনে চাকরি করার পর চাকরি ছেড়ে দেন কিংবা অনিয়মিত হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় মফস্বলের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যোগ্য হয়ে উঠবে কী করে?
বাজেট বরাদ্দ সাপেক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হলে জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করাই হবে সঙ্গত। ১০-২০ বছর আগে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের দুর্ভোগ বহু বছরের। অনেকের চাকরির মেয়াদ আছে মাত্র ৫-১০ বছর। এবার এমপিওভুক্ত হতে না পারলে অনেকেই বিনা বেতনে অবসরে যাবেন। সর্বশেষ ২০১০ সালের এমপিভুক্তিতে স্বীকৃতির বাইরে কোনো নীতি অনুসরণ করা হয়নি। ওই সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত তালিকা শিক্ষা উপদেষ্টার হাতে রদবদল ঘটে। আবার ওই তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেলে আর এক রূপ নেয়। অর্থ ও লবি এমপিওভুক্তির নিয়ামক উপাদান হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি স্বীকৃতি ছাড়াই কিছুসংখ্যক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়। স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়, অন্যগুলো বাদ পড়ে। একই যাত্রায় একই ধরনের প্রতিষ্ঠান দু’রকম পরিস্থিতির ভেতর পড়ে। এরপর বঞ্চিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আরও নয়টি বছর পার করেছে। সে কারণে ২০১০ সালে স্বীকৃতি থাকা সত্ত্বেও এমপিওভুক্ত হতে না পারা প্রতিষ্ঠান কোনো নীতিমালায় আটকে না রেখে এমপিওভুক্ত করলেই হবে পূর্ববর্তী ভুলের সংশোধন।
এখনও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আছে। আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সে লক্ষ্যে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করা যেতে পারে। সরকার ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ২০২১ মুজিববর্ষ উদযাপন করবে। মুজিববর্ষ স্মরণীয় করতে হলে কিছু ঐতিহাসিক কর্মসম্পাদন করতে হবে; যা হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছেন।
শিক্ষক সম্প্রদায়ের ভেতর নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সবচেয়ে অবহেলিত, সবচেয়ে দুঃখী। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থাকে অভিন্ন নিয়মনীতির ভেতর আনা এখন সময়ের দাবি। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হলে শিক্ষার ক্ষেত্রে তা হবে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতে করে শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন হবে। মুজিববর্ষ স্মরণীয় করতে এ ঘটনা ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করবে।
শরীফুজ্জামান আগা খান : শিক্ষক ও গবেষক
সূত্রঃ যুগান্তর
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.