এইমাত্র পাওয়া

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি কেমন হওয়া উচিত

শাহাবুদ্দীন।।

ম্যানেজিং কমিটি আজ প্রশ্নবিদ্ধ! প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজের ম্যানেজিং কমিটি।সেটা মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও। প্রশ্ন হলো, কেন রাজনৈতিক পরিচয়ধারী মূর্খরা কমিটিতে আসবে।এখানে তাদের স্বার্থ কি? আর মূর্খদের দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার কিবা উন্নয়ন হবে।মাঝেমধ্যে ইচ্ছা লাগে এইসব বকলম ম্যানেজিং কমিটিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করি।

ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে এটা বন্ধ হওয়া দরকার। আর সেজন্যই শিক্ষতদের কমিটিতে স্থান দিতে হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিচয় করাতে চান।সেটার জন্য অবশ্য শিক্ষীত জাতী দরকার।আর জাতীকে উন্নত শিক্ষীত করতে শিক্ষকরা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষীত পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে হয়ে থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির কাজ কি?
এই প্রশ্নটা যদি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কাছে করা হয় তাহলে মুখ হা করে থাকবে, কোন উত্তর দিতে পারবে না। তবে তারা বকলম হয়ে শিক্ষকদের উপর ছড়ি ঘোরাতে উস্তাদ। আর বর্তমানে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক শিক্ষকদের অসম্মান বা নির্যাতন করা নিত্যকার ঘটনা । যেটা বন্ধ হওয়া দরকার। এখনই লাগাম টেনে ধরতে হবে।তাদেরকে বোঝানো উচিত শিক্ষকই জাতী গঠনের জন্য নিবেদিত প্রাণ।এবং শিক্ষকদের অবশ্যই সম্মান দিতে হবে।

ম্যানেজিং কমিটি সম্পর্কে সত্য কথাটা বলার জন্য শিক্ষা উপমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণে ব্যবস্থাপনা কমিটির অশিক্ষিতরা শিক্ষকদের ওপর বেশি কর্তৃত্ব ফলান। শিক্ষকদের সম্মান দেয়ার মত শিক্ষিত লোক ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নিযুক্ত করার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে ।

ম্যানেজিং কমিটি সম্পর্কে সকলের চাওয়ার ভিত্তিতে আমার নিজস্ব ভাবনা। নিন্মের যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হোক।

১) সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বনিম্ন স্নাতক করা হোক।
২) অন্যান্য সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হোক কমপক্ষে এইচএসসি।
৩) রাজনৈতিক পরিচয়ে কাউকে নিয়োগ নয়।
৪) চিহ্নিত দূর্ণীতিবাজ, আর যেকোন মামলার আসামিকে নিয়োগ নয়।

একজন শিক্ষীত মানুষের পক্ষেই শিক্ষতদের মূল্যায়ন সম্ভব।তাই অচিরেই মহান জাতীয় সংসদে আইন পাশ করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করা উচিত।তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে। আর সেটা না হলে মূর্খদের কাছে জিম্মি হয়ে যাবে শিক্ষকরা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

যেটা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য প্রতিবন্ধক হতে পারে।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.