কুষ্টিয়াঃ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনালের শতশত পরীক্ষার্থীরা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন’র অসদাচরণ ও হুমকির কারণে তাকে কক্ষে রেখেই তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে ক্ষমা চেয়ে পার পান আলোচিত শিক্ষা অফিসার। এ সময় তালা খুলে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়ার যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ বায়েজিদ খান হিমু।
এর আগে শিক্ষার্থীরা ইউএনও রফিকুল ইসলামের গাড়ি আটকে দিয়ে গোডাউন মোড়স্থ এলাকায় ঘন্টাব্যাপী আন্দোলন করে। অবরোধ করে রাখে ভেড়ামারা-দৌলতপুর মহাসড়ক। এসময় শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৯’শ জন শিক্ষার্থী যার মধ্যে ৪৬০ জন পরীক্ষার্থী, বেশ কিছুদিন ধরে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছিল। এ সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক আহমেদ তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা, পিতা মাতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সহ দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এই শিক্ষা অফিসার দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ভেড়ামারায় আছে। এটা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর তার ১০ নম্বর থ্রেট। তারা শিক্ষা অফিসারের বক্তব্যে ভীত হয়ে একসাথে জড়ো হয়ে তার এ বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য তাকে আহ্বান করেন।
কুষ্টিয়ার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ বায়েজিদ খান হিমু বলেন, শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন শিক্ষার্থীদের সহ তাদের বাবা মার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিয়ে, তাদের জীবন ধ্বংস করার হুমকিও দিয়েছে। এমন অবস্থায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষা অফিসার কে রুমে আটকে রেখেই তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে ক্ষমা চান এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্বা প্রকাশ করে বলেছি, তোমরা ঘরে ফিরে যাও, না গেলে তোমাদের সমস্যা হবে।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথাকাটা হওয়ার ঘটনা শুনেছি। তারা শিক্ষা অফিসার কে কক্ষে রেখেই তালা মেরে দেয়। পরে সমঝোতার ভিত্তিতে তালা খুলে দেওয়া হয়।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/১২/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.