কুবিঃ উপাচার্য-শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল কার্যক্রম। সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে শিক্ষার্থীদের কিছু অংশ হলে থেকে গেলেও, অনেকেই আবার অনিশ্চয়তা নিয়েই হল ছেড়ে যাচ্ছেন। তবে কবে নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারে তা নিয়ে ধারণা নেই কারোর।
গত মঙ্গলবার প্রশাসনের নির্দেশনায় বন্ধ হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। হল ছাড়া নির্দেশ থকালেও তা প্রত্যাখান করেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে দ্বিধায় পড়েছেন অনেকে। কবে খুলবে ক্যাম্পাস এমন অনিশ্চয়তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া বাসে বাড়ি ফিরছেন অনেকে। কেউ আবার হলে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি করছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, হুট করে এমন সিদ্ধান্তে বন্ধ হয়েছে জরুরি পরীক্ষা ও ক্লাস। বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে তাও কেউ জানেন না। বাধ্য হয়েই তাদের অনেকে বাড়ি ফিরছেন, কেউ থাকছেন হলে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফরহাদ কাউসার, ‘উপাচার্য-শিক্ষক দ্বন্দ্বে বাংলাদেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়েছে কিনা এমন ইতিহাস আছে বলে জানা নাই। আমরা আসলেই লজ্জিত।’
রসায়ন বিভাগে শিক্ষার্থী শ্রাবন্তী বলেন, ‘আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। আবার কবে আসবো, ক্লাস কবে হবে, কোনো কিছুরই সিদ্ধান্ত নেই। শিক্ষক ও প্রশাসন তাদের এই দ্বন্দ্ব থেকে বেরিয়ে আসুক, যেন শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষার্থী শাহ সামিন সাদী বলেন, প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে দ্বিধায় পড়ি আমরা। কেউ হল ছাড়ছে, কেউ ছাড়ছে না। কী হবে তাও কেউ জানে না।
দ্রুত সমস্যার সমাধান চাইলেও তা কবে হবে তা জানেন না শিক্ষকেরাও। উপাচার্য-শিক্ষক দ্বন্দ্বটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হলেই – শিক্ষার্থীরা সেশনজটের মতো সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবে বলে মনে করেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. হাবীবুর রহমান বলেন, ‘আমরা চাই না শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হোক। যে কোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। আলোচনা করে উপাচার্য ও শিক্ষকেরা যত দ্রুত সমাধানে আসবে, তাতে সবারই ভালো।’
তবে কবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে কারো কোন ধারণা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আগামী সপ্তাহে আলোচনায় বসতে পারেন উপাচার্য-শিক্ষক সমিতি। নির্দেশনা অনুযায়ী যারা হল ছাড়ছেন তাদের জন্য বাস দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্তের আগেও শিক্ষকদের নানান কর্মসূচির কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের শিকার হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা চান, এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৫/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.