মুসাহিদ উদ্দিন আহমদঃ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অভিজ্ঞতার আলোকে নির্ধারিত যোগ্যতায় পারদর্শিতা লাভ করে থাকে। এসব অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে তুলতে চাই উপযুক্ত শিক্ষা। আর সেই শিক্ষা অর্জনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নির্ভুল তথ্যসমৃদ্ধ বই। প্রতি বছরের মতো এ বছর শিক্ষার্থীদের কাছে বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নতুন পাঠ্যবই। নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত শিক্ষার্থীরা। একজন শিক্ষার্থীর জন্য বেশ কিছুসংখ্যক বই কিনতে বিপুল অর্থের সাশ্রয় হওয়ায় খুশি অভিভাবকরাও। কিন্তু সরবরাহ করা নতুন পাঠ্যবই প্রকাশে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে
শৈশব-কৈশোর থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি স্তরে মানুষ কিছু কিছুু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অভিজ্ঞতার আলোকে নির্ধারিত যোগ্যতায় পারদর্শিতা লাভ করে থাকে। এসব অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে তুলতে চাই উপযুক্ত শিক্ষা। আর সেই শিক্ষা অর্জনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নির্ভুল তথ্যসমৃদ্ধ বই।
প্রতি বছরের মতো এ বছর শিক্ষার্থীদের কাছে বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নতুন পাঠ্যবই। নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত শিক্ষার্থীরা। একজন শিক্ষার্থীর জন্য বেশ কিছুসংখ্যক বই কিনতে বিপুল অর্থের সাশ্রয় হওয়ায় খুশি অভিভাবকরাও। কিন্তু সরবরাহ করা নতুন পাঠ্যবই প্রকাশে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে যথেষ্ট অযত্ন আর অবহেলার ছাপ। নিম্নমানের নিউজপ্রিন্ট কাগজে ছাপা অনেক পৃষ্ঠায় কালি লেপ্টে যাওয়ায় সেসব পৃষ্ঠা অস্পষ্ট হওয়ায় লেখাপড়া কষ্টকর। এছাড়া বইয়ের ভেতরে কিছু কিছু তথ্যগত ও বানানের ভুলও লক্ষ করা গেছে। পাঠ্যবই প্রকাশের আগে বইয়ের বিষয়ের ওপর মতামত চেয়ে বিশেষজ্ঞজনের কাছে তা দেখার জন্য পাণ্ডুলিপি পাঠানো হয়। বই ছাপানোর আগে স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষা বোর্ডের উচ্চতর পদে নিযুক্ত ব্যক্তিদের মূল্যায়ন করতে দেওয়া হয়। এর পরেও কী করে পাঠ্যবইগুলোতে ত্রুটি রয়ে গেল, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। তবে নতুন পাঠ্যবইয়ে কোনো ধরনের ভুলভ্রান্তি, ত্রুটিবিচ্যুতি অথবা পাঠ্যবইয়ের মানোন্নয়নে কোনো ধরনের পরামর্শ থাকলে তা জানানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার অন্যতম প্রধান উপকরণ হচ্ছে বই। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে বই ছাপা হয়েছে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি। বই বিতরণের প্রথম দিনে প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থী বই পেলেও অষ্টম ও নবম শ্রেণির সব শিক্ষার্থী বই পায়নি। বিনামূল্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্য অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু বিগত বছরগুলো থেকেই পাঠ্যবইয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে যা বর্তমান বছরে প্রকট রূপ ধারণ করে। একটি জাতির অগ্রযাত্রার গতিপথ নির্মিত হয় সঠিক শিক্ষা-কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে। শিশুশিক্ষার্থীদের মেধা-মনন-ব্যক্তি-চেতনা গড়ে তোলায় শৈশবের শিক্ষার প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদের মৌলিক অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা বিধানে শিক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদানের বিষয়ও উল্লেখ রয়েছে। বাঙালির সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের পূর্বশর্ত হচ্ছে সঠিক ও গুণগত মানের শিক্ষা যা শিশুর মননে এক উন্নত সমৃদ্ধ জীবনের আলো ছড়িয়ে দিতে সক্ষম।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মতে, সাধারণত শ্রেণিশিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পাঠ্যক্রম পরিমার্জন, পরিবর্ধন ও বিয়োজনের পর খসড়া তৈরি করতে হয়। এরপর তা চূড়ান্ত করার দায়িত্ব এনসিটিবির। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে খসড়া কমিটিতে নামিদামি ভার্সিটি, কলেজের অভিজ্ঞ শিক্ষক থাকলেও যার বিশেষ ভূমিকা থাকা প্রয়োজন সেই শ্রেণির বিশেষজ্ঞ শিক্ষক অনেক ক্ষেত্রে থাকেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। কারিকুলাম তৈরি, পুস্তক প্রণয়ন ও সম্পাদনা পরিষদের দায়িত্বে থাকেন বেশ দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। কোনো পুস্তক মুদ্রণের পর সামান্য ভুলত্রুটি থাকা স্বাভাবিক। দায়িত্বশীল কারও মতে, একটি বইয়ের পাঠ্যক্রম বুঝতে, ভুলত্রুটি চিহ্নিত করতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় নিয়ে স্টাডি করা প্রয়োজন। কিন্তু তা না করে এনসিটিবির সভায় খসড়া পাণ্ডুলিপি অনুমোদনের জন্য দেওয়া হয়। এত স্বল্প সময়ে কারও পক্ষে তা ভালোভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এর ফলে এনসিটিবি কর্তৃক শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পাঠ্যবই মুদ্রণের কাজটি শেষ হয়ে যায়। দেশের বিপুল সংখ্যক প্রাইমারি ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে এতগুলো পাঠ্যবই সরবরাহ করার বিশাল কর্মযজ্ঞের শুভ উদ্যোগ কারও ভুল বা অসর্তকতার কারণে বিতর্কিত হওয়া যুক্তিসঙ্গত নয়।
শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই সরবরাহে বর্তমান সরকারের শুভ উদ্যোগ দেশের বাইরেও নজর কেড়েছে। দেশের দরিদ্র শিশুদের হাতে পাঠ্যবই পৌঁছে যাওয়ার কারণে যেখানে পঞ্চম শ্রেণির আগেই ৩৮ শতাংশ এবং নবম শ্রেণি পার না হতেই ৪২ শতাংশ শিশু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ত, সে হার হ্রাস পেয়েছে। বাড়ছে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ব্রেইল বই, পাঁচটি নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের তাদের নিজেদের ভাষায় লেখা প্রাক-প্রাথমিকের বই ও শিক্ষা উপকরণ এবং শিক্ষকদের শিক্ষক নির্দেশিকা দেওয়া সরকারের শিক্ষা প্রসারের অভিযাত্রায় যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। বছরের প্রথম দিনে পাহাড়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরা মাতৃভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ পাওয়ায় স্কুল থেকে তাদের ঝরে পড়ার হার কমছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি থাকলেও সেখানকার স্কুলগুলোতে এতদিন শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের কোনো সুযোগ ছিল না। এসবই বর্তমান সরকারের বিশেষ অর্জন।
২০২৩ সাল থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই পদ্ধতি দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম এবং ২০২৫ সালে এটি চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। পর্যায়ক্রমে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে এই পদ্ধতি উচ্চ মাধ্যমিকে চালু হতে যাচ্ছে। নতুন কারিকুলামের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ে বেশকিছু ভুলভ্রান্তি ধরা পড়ে। এছাড়া বইয়ে কিছু অসঙ্গতিও লক্ষ করা যায়। বিগত দিনে পঞ্চম শ্রেণির ছয়টি পাঠ্যবই থেকে হঠাৎ ষষ্ঠ শ্রেণিতে তেরোটি পাঠ্যবই অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অনেক প্রশ্ন ওঠায় শিশুর ওজনের ১০ শতাংশের বেশি বইয়ের বোঝা বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারিও করা হয়। ২০১২ সালে প্রণীত নতুন পাঠ্যক্রমের আলোকে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়। কিন্তু মাত্র তিন বছর যেতে না যেতে এবারের পাঠ্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়। ২০১০ সালে চালু হওয়া সৃজনশীল পদ্ধতি বাদ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করে। দীর্ঘকাল ধরে চালু থাকা পদ্ধতি বাদ দিয়ে উন্নত বিশ্বের আদলে ধারাবাহিক মূল্যায়নের প্রতি জোর দেওয়া হয়। নতুন শিক্ষাক্রমে দশম শ্রেণির সব পাবলিক পরীক্ষা তুলে দেওয়া হয়।
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। নবম শ্রেণিতে কোনো বিভাগ পছন্দের সুযোগ থাকছে না। চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৬০ শতাংশ আর সামষ্টিক মূল্যায়ন ৪০ শতাংশ। নবম ও দশম শ্রেণিতে শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে ৫০ শতাংশ করে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৩০ শতাংশ এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন থাকবে ৭০ শতাংশ। প্রায়োগিক বিষয়ে শতভাগই থাকবে শিখনকালীন মূল্যায়ন।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মতে, নতুন শিক্ষাক্রমে কোনো পরীক্ষা না থাকায় বই থেকে দূরে সরে যাবে শিক্ষার্থীরা। ঘরে বসে লেখাপড়া করার কোনো আগ্রহই তাদের থাকবে না। এছাড়া শিক্ষকের কাছে বেশি নম্বর থাকায় প্রাইভেট পড়ার প্রবণতা বেড়ে যাবে। দরিদ্র শিক্ষার্থীরা আর্থিক সমস্যায় পড়বে। দেশের হাতেগোনা কয়েকজন ব্যক্তির চিন্তাধারাকে ৫ কোটি শিক্ষার্থীর ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিমত অভিভাবকদের। নতুন বছরের শুরুতে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলামে পাঠদান শুরু হলেও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ পাননি।
আর যারা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তাও তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। মাস্টার ট্রেইনাররাও নতুন কারিকুলামে পাঠদানে প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর এ বিষয়ে কতটা সক্ষমতা অর্জন করলেন তা যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন ছিল। তাদের মাঝে সক্ষমতার ঘাটতি থাকলে তারা যাদের প্রশিক্ষণ দেন, সেসব শিক্ষক মাঠ পর্যায়ে নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী পাঠদানে কতটা সক্ষম হবেন! এসব নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। শিক্ষকদের মতে, কোনো ব্যবহারিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সামাল দিয়ে নিবিড় তদারকি করে পাঠদানের ক্ষেত্রে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত সর্বোচ্চ ৩০:১ হওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবে দেশে অনেক শ্রেণিকক্ষেই একজন শিক্ষককে ৮০ থেকে ১০০ জন পর্যন্ত শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিতে হয়। ফলে সুষ্ঠু পাঠদান প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
নতুন পাঠ্যবইয়ের ভুলগুলো সংশোধনের পাশাপাশি নতুন শিক্ষাবর্ষের সব বই পরিমার্জনের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছে পর্যালোচনা কমিটিও। তারা পর্যালোচনা শেষে প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন এবং এর ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাঠ্যবই প্রণয়নে ভুলত্রুটির কারণ হিসেবে কারও অবহেলা ও দায়িত্বজ্ঞানের অভাব এড়ানোর উপায় খুঁজে বের করা দরকার। পুস্তক লেখক ও সম্পাদকের মাঝে কাজের সমন্বয় ঘটানো গেলে নির্ভুল পুস্তক প্রণয়নে ইতিবাচক ফল দেবে। আগের তুলনায় নতুন শিক্ষাক্রমে বিষয় ও পাঠ্যবইয়ে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে তা পরিবর্তিত পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করবে এবং আগামীতে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি বিশ^ নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার যে আশাবাদ, তা বাস্তবায়ন হোক এমনটাই প্রত্যাশা। নির্ভুল তথ্যসমৃদ্ধ বই মানুষের সারা জীবনের অমূল্য সম্পদ।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও প্রকৌশল
“মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.