ঢাকাঃ উপাচার্য (ভিসি) ও এক বিভাগের প্রধানের পদত্যাগ দাবিতে গত ২৬ এপ্রিল দিনভর আন্দোলন করেন বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করেন।
তবে তাতে ‘কিছু শিক্ষার্থী’ আন্দোলন করছে উল্লেখ করায় উপাচার্যকে মধ্যরাতে অবরুদ্ধ করা হয়। উপাচার্যের সঙ্গে বেশ কয়েকজন শিক্ষকও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরদিন ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, রোববার (১৮ মে) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে খোলা চিঠি দিয়েছে ইউআইইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। সেখানে বলা হয়েছে, ‘গত ২৬ এপ্রিল রাতে উপাচার্য ও শিক্ষকদের অফিস রুমে আটকে রাখা এবং তাদের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও বাড়ি যেতে না দেওয়ার ঘটনায় যারা জড়িত ছিল, তাদের শনাক্ত করতে প্রক্টরিয়াল প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘যেসব শিক্ষার্থী এ ঘটনায় দায়ী প্রমাণিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে ইউআইইউ শৃঙ্খলা কমিটির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদেরকে বহিষ্কারও করা হতে পারে। তবে যেসব শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।’
‘আমরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দৃঢ়ভাবে আমরা কাজ করে যাবো। কারও শিক্ষাজীবন বা ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে পড়তে দেবো না’ বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৫/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.