এইমাত্র পাওয়া

শিক্ষানীতি ও শিক্ষা প্রশাসনে বিরাট সংস্কার প্রয়োজন

ড. মিয়া মুহাম্মদ আইয়ুবঃ ১৯৬২ সালে বিচারপতি হামদুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানে একটি শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছিল এবং তারা একটি রিপোর্ট দাখিল করেছিল। ওই রিপোর্ট বিরোধী দল গ্রহণ করেনি। তখন ছাত্রসমাজ সেটি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন করেছিল। ১৯৭০ সালে সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল নূর খানকে প্রধান করে আরেকটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। ওই কমিটির সুপারিশও ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করে। সেটিকে উপলক্ষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষ হলে ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা আবদুল মালেক নিহত হন।

বাংলাদেশে স্বাধীনতা লাভের দীর্ঘ ৫৩ বছরে সরকার বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন/শিক্ষা সংস্কার কমিটি/ অন্তর্বর্তীকালীন টাস্কফোর্স/শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির রিপোর্ট পেয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিবেদনই সরকার কর্তৃক বাস্তবায়ন করা হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে গঠিত শিক্ষা কমিশন দেশের জন্য একটি সেকুলার শিক্ষানীতি দাখিল করে। ১৯৭২ সালে কতিপয় অতি উৎসাহী মহল শেখ মুজিবকে মাদরাসা বন্ধ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু শেখ মুজিব তাদের পরামর্শ উপেক্ষা করেন এবং কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের সুপারিশ বাস্তবায়নে বিশেষ আগ্রহ দেখাননি। তিনি মাদরাসা বন্ধ করার উদ্যোগও নেননি; বরং ক্ষুদ্র আকারের ইসলামিক রিসার্চ অ্যাকাডেমিকে বৃহদাকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনে উন্নীত করেন। ১৯৮২ সালে সামরিক আইন জারির পর জেনারেল এরশাদ আবদুল মজিদ খানের নেতৃত্বে আরেকটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। ওই কমিটির সুপারিশও ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করেছিল।

১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পুনরায় সরকার গঠন করলে তখনো তারা শিক্ষা ব্যবস্থায় নীতিগত বিশেষ কোনো পরিবর্তন আনেনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের মেনিফেস্টোতে দলটি কুরআন ও সুন্নাহবিরোধী কিছু করবে না বলে অঙ্গীকার করে। তা সত্তে¡ও এবার তারা ‘সেকুলার শিক্ষাব্যবস্থা’ নিয়ে অনেক বেশ উদ্যোগী ও তৎপর হয়।

তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠন করে। বেশ স্বল্প সময়ের মধ্যে ৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ কমিটি তাদের চূড়ান্ত খসড়া প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর ভাষ্য অনুযায়ী, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে- মানবতার বিকাশ এবং জনমুখী উন্নয়ন ও প্রগতিতে নেতৃত্বদানের উপযোগী মননশীল, যুক্তিবাদী, নীতিবান, নিজের ও অন্যান্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কুসংস্কারমুক্ত, পরমতসহিষ্ণু, অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক এবং কর্মকুশল নাগরিক গড়ে তোলা। আরো বলা হয়েছে, এই শিক্ষানীতি সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে সেকুলার গণমুখী, সর্বজনীন, সুপরিকল্পিত এবং মানসম্পন্ন শিক্ষাদানে সক্ষম শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ভিত্তি ও রণকৌশল হিসেবে কাজ করবে। জাতীয় শিক্ষানীতিতে আরো বলা হয়েছে- জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে বিধৃত সংশ্লিষ্ট নির্দেশনাগুলো বিবেচনায় রাখা হয়েছে। খসড়া রিপোর্টের শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ৩-এ, সুনাগরিকের গুণাবলির ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে- ন্যায়বোধ, ধর্মনিরপেক্ষতাবোধ, কর্তব্যবোধ, মানবাধিকার ইত্যাদি।

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনে শিক্ষাব্যবস্থাকে সেকুলার রূপ দেয়ার কাজ নীরবেই অনেকটা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। বিচারপতি আবদুর রউফ শিক্ষানীতি-২০১০-এর সমালোচনা করে বলেছিলেন, এতে এক ধরনের অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। সঙ্কীর্ণ মন ও হীনম্মন্যতা নিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি সাব্যস্ত করার কর্তৃত্ব নেয়া ঠিক নয়। যারা নীতিনির্ধারণী কর্তৃত্ব নেবেন তাদের মন অনেক উদার, অনেক বড় করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি কোনো একটি সরকারের বা দলের বিষয় নয়। পরবর্তী প্রজন্মকে গড়ে তোলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার ছিল। শিক্ষানীতিকে কোনো সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা ঠিক হবে না, এটি একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি প্রফেসর আরেফিন সিদ্দিকও একইভাবে বলেছিলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো সঙ্কীর্ণ, দলীয় ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত নয়। তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে যখন কোনো নীতি চূড়ান্ত করা হয়, তখন জনগণের মতামত সেখানে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় আনা উচিত। বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর শমসের আলী বলেছিলেন, শিক্ষানীতি একটি জাতির জীবনে সুদূরপ্রসারী জিনিস। তাই শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কোনো তাড়াহুড়ার সুযোগ নেই। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে তাদের মাধ্যমে জনগণের মতামত পর্যালোচনা করা উচিত।

বিপরীত দিকে দেখা যায়, সেকুলার ঘরানার বুদ্ধিজীবীরা শিক্ষানীতি ২০১০ নিয়ে বেশ তৃপ্তবোধ করেছেন এবং বেশ অস্থির হয়ে গিয়েছিলেন কিভাবে এটিকে তাড়াতাড়ি বাস্তবায়ন করা যায়। সবচেয়ে অস্থিরচিত্ত মনে হয়েছিল খোদ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে যিনি সুপরিচিত বামপন্থী। তিনি যেন পারলে সাথে সাথেই শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন শুরু করে দেন। তিনি যেন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। অথচ অনেকেই বলেছিলেন, শিক্ষানীতিতে অনেক ঘাটতি আছে এবং এ নিয়ে জনগণের মতামত যথেষ্টভাবে গ্রহণ করা হয়নি। বেশি বিতর্ক উঠেছিল মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে। তাকে উৎসাহিত করেছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির তৎকালীন সভাপতি বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা রাশেদ খান মেনন। আরেক বামপন্থী নেতা হাসানুল হক ইনু মন্তব্য করেছিলেন, মৌলবাদীরা শিক্ষানীতি নিয়ে হইচই করছে। দেখা গেল, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষার মতো একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে বামপন্থীদের হাতে তুলে দিয়েছিল এবং তারাই অতি উৎসাহী হয়ে তড়িঘড়ি করে জাতির ওপর তাদের মতাদর্শ, ধ্যান-ধারণা ও চিন্তাপ্রসূত শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে উঠেপড়ে লেগেছিল। দেশের বিশিষ্ট আলেম ও মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি বলেছিলেন, ‘শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বানানোর সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়েই শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।’ কওমি মাদরাসার অন্যতম নেতা মরহুম মাওলানা ফজলুল হক আমিনী বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি মনে করে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে শিক্ষানীতি চালু করে ফেলবে, তবে এটি তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে। আমার বিশ্বাস, তখন সব ইসলামী দল এক হয়ে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। আলেম সমাজের আরেকজন বিশিষ্ট নেতা মরহুম মওলানা মুহিউদ্দিন খান বলেছিলেন, প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির মাধ্যমে সরকার জাতিকে ধর্মহীন ও নৈতিকতা-বিবর্জিত অবস্থায় নিপতিত করতে চায়। এ শিক্ষানীতি বাতিল না করলে দেশে গণ-অভ্যুত্থান হবে। এ দিকে মাদরাসা শিক্ষকদের আরেক সংগঠন জমিয়তুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দিন বলেছিলেন, শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষা কমতির বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না। মাদরাসায় যা কিছু আধুনিকায়ন করতে হয় তা করতে হবে ধর্মীয় বিষয় ঠিক রেখে, মাদরাসা শিক্ষার স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ সাবেক সচিব শাহ আবদুল হান্নান বলেছিলেন, প্রস্তাবিত শিক্ষানীতিতে মাদরাসার জন্য যে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে তাতে মাদরাসা থেকে আলেম তৈরি হওয়ার সুযোগ একেবারেই কমে যাবে। এর মাধ্যমে কৌশলে ধীরে ধীরে মাদরাসা শিক্ষা বিলুপ্ত করা এবং স্কুল থেকে ইসলামী শিক্ষা উঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহত্তম ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামী শিক্ষানীতি-২০১০ বাতিলের দাবি জানায়। বিএনপি প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির সমালোচনা করে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল এরশাদও বলেছিলেন, ধর্ম বাদ দিয়ে শিক্ষানীতি চালু করা সম্ভব হবে না।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৪ সালে শিক্ষানীতির আলোকে একটি নতুন কারিকুলাম, পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ ও বিতরণ করে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কিছু বইয়ে এমন সব আপত্তিকর বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভের জন্ম দেয়।

দেখা যায় যে, প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির বিষয়ে দেশে সুস্পষ্ট বিপরীতধর্মী দু’টি ধারা বিরাজ করছে। সরকার সমর্থক সেকুলার ধারার রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবীরা ডান ও ইসলামপন্থীদের উৎকণ্ঠাকে আমলে নিতে চাননি। তাদের কথাবার্তায় মনে হয়েছিল, তারা ক্ষমতায় থেকে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। কিন্তু তাদের মনে রাখা দরকার ছিল, আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকার দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করেনি। ২০০৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচন এবং পরবর্তীতে ২০১৪, ২০১৮ ২০২৪-এর মতো ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে শিক্ষানীতির মতো একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সুদূরপ্রসারী স্থায়ী বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সমীচীন ছিল না। গায়ের জোরে শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেয়া হলে তা যে টেকসই হবে না, তা তখনই বোঝা গিয়েছিল। এটি জোর দিয়েই বলা যায়, ইসলাম প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে শিক্ষানীতি চালু করার কোনো চেষ্টা সফলতা বয়ে আনবে না। কারণ এ দেশের জনগণের বৃহৎ অংশই সেকুলারিজমের সমর্থক নয়। এটি সরকার, তাদের সমর্থক সেকুলার ধারার রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবীরা বুঝতে চাননি। তারা বুঝেও না বোঝার ভান করে তাদের মতাদর্শ জনগণের ওপর চাপাতে চেষ্টা করে, ফলে তারা দেশকে সঙ্ঘাতের দিকে ঠেলে দেয়। বিশেষ করে পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত বিষয় এবং এক ব্যক্তির সীমাহীন বন্দনা এমনভাবে স্থান পায়, যা দেশের জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আওয়ামী নেতৃত্বের উন্নাসিকতা, সর্বস্তরে দুর্নীতি ও জুলুম নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতা ঐতিহাসিক বিপ্লবের ফলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার সমর্থিত এ সরকারের প্রতি তাদের অনেক আশা-প্রত্যাশা রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার বিগত ১৫ বছরে দেশের প্রশাসন, নির্বাচন, বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে বহু প্রতিষ্ঠান ও নীতি নৈতিকতাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। জনগণ আশা করে, এ সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে এবং জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করবে। এ লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ১০টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। তবে শিক্ষা সংস্কার সম্পর্কিত কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। বাংলাদেশের শিক্ষানীতি ও শিক্ষা প্রশাসনে বিরাট সংস্কার প্রয়োজন। বিগত আওয়ামী শাসনামলে শিক্ষার সর্বস্তরে সেকুলার তথা বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকদের দাপটে শিক্ষাব্যবস্থা তার সঠিক গতিপথ হারিয়েছে। অবাস্তব ও কট্টর সেকুলার চিন্তাধারা ও ব্যক্তিপূজার যে উদ্ভট সংস্কৃতি ও শিক্ষা চালু হয়েছিল তা জাতিকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। অতীতে দেখা গেছে, রাজনৈতিক সরকার নিরপেক্ষভাবে শিক্ষা সংস্কার করতে পারে না। সে বিবেচনায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষানীতি ও শিক্ষা প্রশাসন সংস্কারের উদ্যোগ নেবে বলে আমরা আশাবাদী। 

লেখক : গবেষক ও সাবেক সচিব

মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/১১/২০২৪ 


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.