বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ: এখনও অপেক্ষা করুন পাঁচ বছর

এ এইচ এম সায়েদুজ্জামান।।

শিক্ষকেরা শিক্ষার প্রধান শক্তি। একজন শিক্ষার্থীর মননে শিক্ষার গুরুত্ব, মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা অনুশীলন করার যে মহৎ কাজ সেটি একজন আদর্শবান শিক্ষক করেন।

একজন শিক্ষক শুধু শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন না, শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীকে সবুজ পৃথিবীর শুভ স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন।একজন আদর্শ শিক্ষক বা সফল শিক্ষক তাঁর ছাত্রছাত্রীদের সবসময় সত্যের পথে চালিত করে থাকেন।

কেননা তার কাছে অন্যায়ের কোনো আশ্রয় নেই। তিনি ছেলেমেয়েদের সবসময় ন্যায়ের সাথে চলতে পরামর্শ দেন এবং সত্যের আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে নির্দেশ দেন।

এক বাক্যে বলা যায়, শিক্ষার্থীদের দেখার শুদ্ধ আলো, চিন্তা করার সঠিক পদ্ধতি শিক্ষকেরাই প্রতিস্থাপন করেন। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষকদের অনুরূপ কারুকার্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দৃশ্যমান হয়।

কিন্তু উদ্বেগের বিষয় আমাদের দেশের শিক্ষকেরা এখনো তাঁদের প্রাপ্য মর্যাদা পান না। দেশে দীর্ঘদিন ধরে মাধ্যমিক শিক্ষকেরা আন্দোলন করছেন, শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবিতে।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০ হাজার ৫৪০টি আর কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৫ লাখ ৬২ হাজার ৬৬৩ জন।

দেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ২২ হাজারের বেশি। এর মধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র ৬৮৪টি। এই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানর মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। তাদের বিপরীতে শিক্ষক আছেন পৌনে তিন লাখের মতো।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অধিকাংশ এমপিওভুক্ত হওয়ায় শিক্ষকেরা সরকার থেকে বেতনের পাশাপাশি কিছু নামমাত্র ভাতা পেয়ে থাকেন। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বিশাল বৈষম্য, অর্থাৎ একজন সরকারি শিক্ষক পূর্ণাঙ্গ বেতন, ভাতা পেলেও একজন বেসরকারি শিক্ষক তেমনটি পান না। এ ছাড়াও শিক্ষকদের ১১ দফা দাবি রয়েছে। যা নিয়ে শিক্ষকেরা লাগাতার আন্দোলন করছেন।

গত বছরের জুলাই মাসে (১৭ জুলাই ২০২৩) আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশ হামলার শিকার হয়ে অনেক শিক্ষক আহত ও লাঞ্ছিত হন। শিক্ষকেরা জাতির মেরুদণ্ড, আর সে শিক্ষককে পুলিশ দিয়ে লাঠিপেটা কিংবা লাঞ্ছিত করা খুবই নিন্দনীয়।

পরবর্তীতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকার দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও প্রকৃতপক্ষে মাধ্যমিক শিক্ষার জাতীয়করণ নিয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকারের পক্ষ থেকে উঠে আসেনি।

শিক্ষকদের ন্যূনতম এই মৌলিক দাবি সময় উপযোগী ও যৌক্তিক। একটি গণতান্ত্রিক দেশে শিক্ষকদের সম্পূর্ণ পরিষেবার ব্যবস্থা যদি সরকার গ্রহণ না করে, এতে দেশের শিক্ষার উপর মারাত্মক আঘাত আসবে।

কেননা শিক্ষকেরা যদি তাঁর প্রাত্যহিক জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন, তাহলে শিক্ষা ও শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষকদের বিশেষ কোনো অনুরক্তি কিংবা গুরুত্ব থাকবে না। যার ফলে দেশের শিক্ষা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্তাব্যাক্তিদের মতামত:

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি যা বলেছিলেন :

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা আন্দোলনে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষকদের বলেছিলেন  আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয়।

তবে, জাতীয়করণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আগস্টের শেষদিকে দুটি কমিটি গঠন করা হবে জাতীয় পর্যায়ে গঠিত দুটি কমিটি দেশের বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর জাতীয়করণ সম্ভাব্যতা যাচাই করবে।

এর মধ্যে একটি কমিটি আর্থিক সম্ভাব্যতা এবং অন্যটি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা যাচাই করে দেখবে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বর্তমান সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি:

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ জরুরি জানিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ সরকারি টাকা পাচ্ছে। আরেকটু বেশি টাকা খরচ করে এসব প্রতিষ্ঠানকে সরকারীকরণ করা যেতে পারে। বিষয়টি বিবেচনা করতে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সরকারিভাবে নিয়োগ হওয়া উচিত । এখন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে এনটিআরসির মাধ্যমে। চাহিদা দিলে দু’বছর লেগে যাচ্ছে শিক্ষক দিতে। ম্যানেজিং কমিটি বেশিরভাগই স্বজনপ্রীতি করে।

প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (এমএলএসএস) পদে নিয়োগ যেন সরকারিভাবে হয়। অন্যথায় মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া যাবে না। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ এড়াতে মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর কমানোর পক্ষেও তিনি।

 আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪  শিক্ষা নিয়ে সরকারের  অঙ্গীকার:

  • সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে শিক্ষানীতির লক্ষ্য বর্ণিত হয়েছে যে ‘রাষ্ট্র ক. একই পদ্ধতির গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য, খ. সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সংগতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছা প্রণোদিত নাগরিকের জন্য, গ. আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।’ আওয়ামী লীগ সরকার নিষ্ঠার সঙ্গে এই নীতি অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করবে।
  • শিক্ষার বিকাশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে, সামগ্রিক জাতীয় উন্নয়ন ও দারিদ্র্য নিরসনে গতিবেগ সঞ্চার করে । এই বিশ্বাস থেকে আওয়ামী লীগ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ যুক্তিসংগত করবে এবং তার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করবে ।
  • বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন সহায়তা (এমপিওভুক্তি) কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা
    হবে ।
  • প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় নারী শিক্ষকের অনুপাত ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে ।
  • স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভাষা, উচ্চতর গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করা হবে । বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য উপযুক্ত ল্যাবরেটরি গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে । মেধাবী বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বৃত্তি প্রদান করা হবে ।
  • মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী ধ্যানধারণা প্রচার ও জঙ্গিবাহিনী গড়ে তোলার ষড়যন্ত্রমূলক প্রয়াস কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে ।
  • মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে যথাযথ শিক্ষা পাঠক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হাতে নেওয়া হয়েছে ।
  • নারী শিক্ষা প্রসারের সঙ্গে সংগতি রেখে উপবৃত্তি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। দরিদ্র ও দুর্বলতর জনগোষ্ঠীর সন্তানদের উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ আরও প্রসারিত হবে ।
  • মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে যথাযথ শিক্ষা পাঠক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হাতে নেওয়া হয়েছে ।
  • নারী শিক্ষা প্রসারের সঙ্গে সংগতি রেখে উপবৃত্তি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। দরিদ্র ও দুর্বলতর জনগোষ্ঠীর সন্তানদের উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ আরও প্রসারিত হবে ।
  • শিক্ষকদের বেতন, মর্যাদা বৃদ্ধিসহ নানা কল্যাণমুখী ও যুগোপযোগী উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে । প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ও মর্যাদা বৃদ্ধির কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণক্রমে এর সিংহভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে । এই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে ।
  • শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের একমাত্র মানদণ্ড হবে মেধা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা ।

শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দীর্ঘদিনের। কারিকুলাম, সিলেবাস, একাডেমিক সময়সূচি, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি কোনো পার্থক্য না থাকলেও আর্থিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।

সরকারি একজন শিক্ষক বাড়িভাড়া পান মূল বেতনের ৪০-৪৫ শতাংশ আর বেসরকারি শিক্ষক পান মাত্র ১ হাজার টাকা। উত্সব ভাতা সরকারি শিক্ষক পান মূল বেতনের ১০০ ভাগ, বেসরকারি শিক্ষক পান মাত্র ২৫ ভাগ। আছে পদোন্নতির জট-জটিলতা।

বর্তমানে অ্যান্ট্রি পদে নিয়োগের ক্ষমতা সরকার গ্রহণ করেছেন; কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রধান কিংবা সহপ্রতিষ্ঠান প্রধান পদে নিয়োগের ক্ষমতা ম্যানেজিং কমিটি আর গভর্নিং বডির হাতে থাকায় ব্যতিক্রম বাদে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ না করে কেউ নিয়োগ পান না।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০ হাজার ৫৪০টি আর কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৫ লাখ ৬২ হাজার ৬৬৩ জন। এই সংখ্যা অর্ধেকে সীমাবদ্ধ না রাখতে পারলেও ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা’ প্রণয়নে দূরদর্শিতা থাকলে এই সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ রাখা সম্ভব ছিল।

শিক্ষকরা বলেন, প্রতিষ্ঠানের ফান্ড ও শিক্ষার্থীদের বেতন সরকার নিয়ে যদি শিক্ষা জাতীয়করণ করা হয়, তাহলে সরকারকে কোনো বাড়তি আর্থিক চাপ সহ্য করতে হবে না। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রীও বলেন, সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের আয় থেকে কোনো অর্থ নেয় না। প্রশ্ন জাগে, শিক্ষকরা কেন প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারকে দিতে চান?

তারা কেন প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারের মাধ্যমে নিতে চান? কারণ একটাই, হাতেগোনা ব্যতিক্রম বাদে প্রতিষ্ঠানের আয় তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে যারা আছেন তারা লুটপাট করেন। এজন্য শিক্ষকরা জাতীয়করণের মাধ্যমে প্রকারান্তরে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের বদল চান  এবং এমপিও প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে চা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বিশ্বে নতুন উচ্চতা পেয়েছে। হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন আসে। তার জবাবও দেওয়া হয়। বিবিসি, সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়া বাংলাদেশ নিয়ে খবর প্রকাশ করে।  বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

সমৃদ্ধ অর্থনীতির এ জনপদ নতুন পরিচয় বহন করছে বিশ্বমোড়লদের কাছে। এখন আর কেউ বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ বলে না। বরং প্রশংসা করে বাংলাদেশের উন্নতি-সমৃদ্ধির।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   গত ১৫ বছরে   ক্ষমতার মসনদে বসে ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন আসে। তার জবাবও দেওয়া হয়।

বিবিসি, সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়া বাংলাদেশ নিয়ে খবর প্রকাশ করে।  বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সমৃদ্ধ অর্থনীতির এ জনপদ নতুন পরিচয় বহন করছে বিশ্বমোড়লদের কাছে।সারা দুনিয়ার ক্ষমতাবানদের চোখে তিনি এখন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।

তাঁর বক্তব্য-বিবৃতি বিশ্বরাজনীতিবিদরা গুরুত্বের সঙ্গে নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিকে জোর দিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করতে চায় আগামী সাড়ে চার বছর নিজের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো শেষ করার পর এ দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।

কিন্ত যেহেতু  আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ এ  শিক্ষা নিয়ে সরকারের  অঙ্গীকারের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করনের  অঙ্গীকার নেই সেই ক্ষেত্রে আমরা বলতেই পারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে এখনও অপেক্ষা করুন পাঁচ বছর।

লেখক- শিক্ষক ও গবেষক

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১০/০৪/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Check Also

অন্তর্বর্তী শিক্ষা কমিশন কেন দরকার

মো. মুজিবুর রহমান।। রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার উদ্দেশ্যে কয়েক দিন আগে সুনির্দিষ্ট ছয়টি …