নিজস্ব প্রতিবেদক।। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী সব শিক্ষকই বদলির সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। গতকাল বিকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে সর্বজনীন বদলি নিয়ে কাজ করছি।
বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব শিক্ষককেই বদলি করা সম্ভব। পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। কতটুকু বাড়বে,
তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমি সামগ্রিকভাবে শিক্ষার বাজেট বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। বাজেট বাড়ানো গেলে শিক্ষকদের বেতন-ভাতাও বাড়ানো যাবে।
শূন্য পদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারিতে বিলম্ব প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীকে বদলির আওতায় আনা খুব সহজ ব্যাপার নয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত পাওয়া গেছে। খুব দ্রুত শিক্ষকরা সুখবর পাবেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে এনটিআরসিএ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে আসছে।
প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করার ফলে নিজ উপজেলায় শূন্যপদ না থাকায় অনেক শিক্ষক বাধ্য হয়ে মাদ্রাসায় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে মেরিট পজিশন অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল।
এনটিআরসিএর নিয়োগ পরিপত্র অনুযায়ী, একজন ইনডেক্সধারী শিক্ষক যে কোনো বয়সে পরবর্তী যে কোনো গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে মেরিট পজিশন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারবেন।
তাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক নিবন্ধনধারী শিক্ষক নিজ এলাকায় শূন্যপদ না থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আবেদন করে সুপারিশ পেয়েছেন।
তবে পরবর্তী সময়ে এনটিআরসিএ নিয়োগ পরিপত্র ২০১৫-এর ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ সাময়িক স্থগিতের কারণে চতুর্থ ও পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদের বদলি আবেদনের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা সমস্যায় পড়েছেন। এ অবস্থায় দ্রুত শূন্যপদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, দুই দশক আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারাদেশের প্রায় ৫ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী নামমাত্র উৎসব ভাতা পাচ্ছেন। তার আগে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারের কাছ থেকে উৎসব ভাতা পেতেন না। ২০২৩ সাল থেকে প্রতি ঈদে শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন।
আর কর্মচারীরা প্রতি ঈদে ৫০ শতাংশ করে উৎসব ভাতা পাচ্ছেন। শিক্ষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত যখন হয়, তখন সরকারের কাছ থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ৯৫ শতাংশ বেতন দেওয়া হতো।
পরে ২০০৫ সালে সরকার ৫ শতাংশ বাড়িয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের শতভাগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়; কিন্তু উৎসব ভাতা বাড়েনি।
শিক্ষাবার্তা /এ/০৫/১২/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.