ঢাকাঃ ফিলিপাইনের কোনও কোনও অঞ্চলে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে মে মাস পর্যন্ত দেশটিতে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে ফিলিপাইন সরকার। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শ্রেণি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
কির্ট মাহুসে নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম পড়ছে। চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। এ গরম সহ্য করা যাচ্ছে না।’ ৬২ বছর বয়সী মেমিয়া সান্তোস নামের এক শিক্ষক বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে। ঘামে আমাদের শরীর ভিজে যাচ্ছে। মাথা ঘোরাচ্ছে।’
সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, ‘মে মাসে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ জন্য পুরো মে মাস স্কুল কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলপাইনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’
সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইন আরও জানিয়েছে, প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুদের মাথা ঘোরা, বমি এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। তাই শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনও কোনও স্কুল ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেটের গতি কম থাকায় ওই সব এলাকায় শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কবলে পড়েছে।
সিনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষার্থী এসমাইরা সোলাইমান বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়ে আমি আনলাইনে ক্লাস করেছিলাম। কিন্তু এখন অনলাইনেও ক্লাস করতে পারছি না। ইন্টারনেটের সমস্যা তো আছেই, এর মধ্যে প্রচণ্ড গরমে মাথা ঘুরতে থাকে।’
এদিকে গরমের কারণে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে ফিলিপাইনে। এ কারণে দেশটির উৎপাদনমুখী ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৯/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.