শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ দেশের চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু ও বয়স্ক নাগরিকরা বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ইমিরেটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ বি এম আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, যেকোনো দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। সেটা শারীরিক মানসিক কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ে।
তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা উচিৎ কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ বলেন, এই গরমের মধ্যে শিশুদের বাইরে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। শিশুরা যখন স্কুলে যাবে তখন তারা রোদের মধ্যে খেলাধুলা করবে, বাইরের খাবার খাবে যা তাদের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। গরম থেকে বাঁচতে এই সময় শিশুরা আইসক্রিম ও কোমল পানীয় বেশি খাবে যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য নেতিবাচক। যেহেতু চলমান তাপপ্রবাহ খুব বেশি দিন থাকবে না, তাই এসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাই ভালো।
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ বলেন, আমার সঙ্গে অনেক অভিভাবকের কথা হয়েছে। এই তাপপ্রবাহে তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। আমার মনে হয় সরকার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে পারে। আমাদের দেশের স্কুলগুলোতে এসি নেই, আবার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্যানও নষ্ট থাকে; ফলে এই গরমে ক্লাস করা শিশুদের জন্য কঠিন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে খবর দেখলাম এই সময়ে দুজন শিক্ষক গরমের কারণে মারা গিয়েছেন। যদি তাই হয় তাহলে তা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত করে তুলতে পারে। যেহেতু গরম বেশিদিন থাকবে না তাই শিশু ও তাদের অভিভাবকদের কথা বিবেচনায় নিয়ে এই সপ্তাহটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, তাপমাত্রা যখন স্বাভাবিক অবস্থায় নেমে আসবে তখন আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে রাখতে পারি। ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রয়োজনে আমরা স্কুলের সময় বাড়িয়ে দিতে পারি। প্রয়োজনে কয়েকটি সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে দিয়ে ক্লাস নিতে পারি।
তবে এসময় অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দেশসেরা এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, স্কুল বন্ধ রাখলেন, আবার একই সময়ে অভিভাবকরা শিশুদের কোচিংয়ে পাঠিয়ে দিলেন তাহলে তো কোনো লাভ হলো না। গ্রামে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুরা সারাদিন মাঠে খেলতে বের হয়ে যায়, এটা তাদের আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৯/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.