এইমাত্র পাওয়া

সিংগাইরে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়ে ফের উত্তেজনা

মানিকগঞ্জঃ জেলার সিংগাইর উপজেলার খাসেরচর মাহমুুদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়ে ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন স¦ঘোষিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শামছুদ্দিন।

এর আগে মো. শামছুদ্দিনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ নিয়ে জজকোর্টে দায়ের করা মামলা গভর্নিংবডির বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট চলমান রয়েছে। সম্প্রতি অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ বেশ কয়েকটি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাদ্রাসার শিক্ষক মো. শামছুদ্দিন।

এদিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে মো. শামছুদ্দিন নিজে অধ্যক্ষ পদের জন্য আবেদন করেন। তিনি কাগজে-কলমে মাদ্রাসার আরেক শিক্ষক আক্রাম হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেও প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ারটি নিজের দখলেই রেখেছেন। শামছুদ্দিন নিজে গভর্নিংবডির সদস্যদের যোগসাজসে অধ্যক্ষ হওয়ার পাঁয়তারা করছেন। এ ঘটনা প্রকাশ পাওয়ায় গতকাল দুপুরে জনরোষের মুখে পড়েন শামছুদ্দিন। এলাকাবাসী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আক্রাম হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার কথা বললেও শামছুদ্দিন গভর্নিংবডির ওপর দায় চাপান। এক পর্যায়ে দ্রুত মাদ্রাসা ত্যাগ করেন তিনি। গভর্নিংবডির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আব্দুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শামছুদ্দিন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই একের পর এক ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রায়হান বাঙ্গালী বলেন, মাদ্রাসার এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী শামছুদ্দিনের উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।

সদ্য দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আক্রাম হোসেন বলেন, কমিটি আমাকে দায়িত্ব দিলেও কাগজপত্রের ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারব না। এ সময় তাকে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসতে বললে তিনি আপারগতা প্রকাশ করে বলেন, কিছুদিন পর আবার সামছুদ্দিন সাহেব অধ্যক্ষ হবেন তাই ওই চেয়ারে বসতে চাই না। তবে অফিসিয়াল সব কাগজপত্র তাকেই স্বাক্ষর করতে হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. শামসুদ্দিন বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে নেই। আমি চেয়ার ছেড়ে দিয়েছি। সবার অনুরোধে এ চেয়ারটিতে বসেছিলাম। দাপ্তরিক কাগজপত্র তার কাছে রাখার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।

গভর্নিংবডির সভাপতি আব্দুল মালেক রানার মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ বি এম আ. হান্নান বলেন, ফাজিল মাদ্রাসা ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারে। এটা কমিটি বা নিয়োগ নিয়ে আমাদের কোনো দায়িত্ব নেই।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৩/০১/২০২৪  

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ সংবাদ, শিরোনাম, ছবি ও ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তা’য়। 


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.