ময়মনিসংহঃ জেলার গৌরীপুরে ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধানশিক্ষক। এসব বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়েই বছরের পর চলছে প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয় উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২৭ জন। বর্তমানে এ উপজেলা শিক্ষা অফিস ও প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৭৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ১৭৭টি বিদ্যালয়ে বালক ২৮৬৬০ জন, বালিকা ২৯৩১৭ জন, সর্বমোট ৫৭৯৭৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ৫৬টি বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক ও ২৭ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে চলতি দায়িত্বে ৩২ জন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি দায়িত্ব প্রাপ্তরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এ ছাড়াও উপজেলা শিক্ষা অফিসে বড় পদগুলোতে কর্মকর্তা থাকলেও ১ জন হিসাব সহকারী, ১ জন অফিস সহকারী, ১ জন অফিস সহায়ক পদে শূন্যপদ রয়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে প্রধানশিক্ষক শূন্য বিদ্যালয়গুলোতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা। এদিকে প্রশাসনিক কার্যক্রম পালন শেষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হিমশিম খেতে হয় তাদের।
সচেতন অভিবাবকরা জানান, বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ভিত শক্ত করার স্তর হলো প্রাথমিক। সেখানে যদি কোনো ত্রুটি থাকে- তবে সেই শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক এবং ক্ষেত্র বিশেষ উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ভোগান্তিতে পড়বে। বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক বিভাগীয় শহর ও উপজেলা শহরে বসবাস করেন। তারা সময়মতো বিদ্যালয়ে আসতে দেরি হয়। গৌরীপুরের অভিবাকরা প্রাথমিক খাতে দ্রুত পর্যাপ্ত প্রধান ও সহকারী শিক্ষক পদায়নের অনুরোধ জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রধানশিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি বন্ধ থাকায় জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকদের কাঁধে বাড়তি দায়িত্ব চেপে বসেছে। দায়িত্ব পালনকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমরা তেমন কোনো সুবিধা পাইনি। অফিসের কাজে দৌড়াদৌড়ি করে ক্লাস নিতে সমস্যা হয়।
কিল্লাতাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক আজিবুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল চলতি দায়িত্ব হিসেবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে ছিলাম। কিন্তু আমরা বেতন পাই ১১তম গ্রেডে। চলতি হিসেবে শুধু ১৫ শ’ টাকা পাই সন্মানী হিসেবে। পাঁচ বছর হয়ে গেল আজও দশম গ্রেডে বেতন পাই না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন পদোন্নতি না থাকায় শূন্য হয়েছে। যে সকল বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে- তার তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৫/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.