শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত সুপারিশের দাবিতে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরাম।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন ফোরামের সহ-সভাপতি মো. ইমরান খান।
তিনি বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর হতে চললেও এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ এখনো আমাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে পারেনি। যেটা আমাদের জন্য চরম হতাশার। আমরা প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছি। এর মধ্যে আমাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা না হলে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে থেকে এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে সোমবার সকাল থেকে এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তরা। মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালীন এনটিআরসিএর সচিব ওবায়দুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রতিনিধিদল।
জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজার ৪৩৮ জনকে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়। এর প্রায় দেড় মাস পর গত ২৭ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ।
প্রার্থীদের সঠিকভাবে ভি-রোল ফরম পূরণের জন্য কয়েক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ভি-রোল ফরম পূরণ শেষে চূড়ান্ত সুপারিশের অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় এনটিআরসিএ। তবে এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রণালয়। এই অবস্থায় আটকে গেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ অর্নব বলেন, আমরা প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছি। কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক সুপারিশের পর ছয় মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও আমাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে পারেনি। যেটা খুবই হতাশাজনক। আমরা চাই কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ করুক।
সার্বিক বিষয়ে এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, আমরা মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে অনুমোদন পেয়েছি। আমরাও শতভাগ রেডি প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করার জন্য। কিন্তু এক প্রার্থী একটি রিট করায় উক্ত রিটে নিয়োগের ওপর ছয় মাসের স্টে এসেছে। আমরা ওই রিটের জবাব রেডি করেছি। আশা করছি একটি হেয়ারিং হলেই প্রবলেমটা সমাধান হয়ে যাবে। তারপর দুই-চার দিনের মধ্যে আমরা প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে পারবো।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৪/০৯/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.