এইমাত্র পাওয়া

শিক্ষা বনাম শিক্ষার্থী ও আজকের বাস্তবতা

মানুষ গঠন করাই হল শিক্ষার মূল কথা। অর্থাৎ মানুষকে প্রকৃত জীবন যাপনের উপযোগি করে তোলাই শিক্ষার উদ্দেশ্য। কিভাবে শরীর প্রতিপালন,মনের উৎকর্ষতা সাধন,বুদ্ধিদীপ্ত সমাধানে নিজেকে এগিয়ে নেওয়া, পরিবারের ভরণপোষণ সর্বোপরি সুনাগরিক হয়ে সমাজ তথা রাষ্ট্রকে সহায়তা করা। জীবনকে সুপথে ও সুকাজে চালিয়ে নেওয়া।

কিন্তু এমন এক চিন্তা সমাজ ব্যবস্থার মাথায় রয়েছে যে আমার একটি সনদ চাই যার ফলে ব্যক্তির লক্ষ্যবস্তু শুধু ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয় এতে সমাজ বা রাষ্ট্রের চাওয়া গৌণ থেকে যায়। যতদিন শিক্ষার মতো সংবেদনশীল ক্ষেত্রকে সর্ব্বোচ্চ মর্যাদা না দেওয়া হবে ততক্ষণ এই সেবা ক্ষেত্রে সঠিকভাবে আলোর দেখা মিলবে কি?

 

বর্তমান বাস্তবতায় আমরা একটি শিশুকে ছোটকাল থেকেই রাশভারী তথ্য দিয়ে পড়ার টেবিলে চেপে ধরি মুখস্থ করতে।যার বদৌলতে শিশুটি না বুঝে আত্মস্থ করতে না পেরে ভয় ও ভীতির মধ্যে নিজেকে গড়ে তোলে। এ সময়কালে ঘটে অমানবিক ঘটনা। বাবা মা,শিক্ষক ও বন্ধু বান্ধবের তাচ্ছিল্য তাকে নিচুতে নামিয়ে আনে। শুরু হয় নিজেকে নিয়ে অপরাধীর ভাবনা।আসলে অপরাধের ক্ষেত্র তৈরি করল কে?

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার অঙ্গগুলি সমস্যার মূলে যেতে পারলেও ;সমাধানের ক্ষেত্রতে পুরোপুরি যেতে পেরেছে কি?
না বুঝে সৃজনশীলতা নিয়ে বিপরীত অবস্থা তৈরি হচ্ছে।যা শিক্ষক হিসেবে আমরাও হয়ত দায় এড়াতে পারিনা। সেই সাথে অন্যদের দায় কতটুকু ছিল সময় হয়ত জানিয়ে দেবে।

ততক্ষণে রাষ্ট্রে শুধু স্বার্থপরতার বীজ বপন হবে আর সনদধারী রাষ্ট্রের চাকর (চাকরি অর্থে) তৈরি হবে। কেননা উদ্দেশ্য তো সনদ সর্বস্ব।যেমন চেয়েছিলাম আমরা।

তাই আমাদের মতো আগামী চাই না; চাই মালিক হয়ে চাকর খোঁজতে। তবেই না রাষ্ট্র হবে সফল। এই উপলব্ধি থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আগামীর কাছে।যেখানে খোঁজতে হবে না দূর্নীতি আর স্বার্থপরতার সূচক।

লেখকঃ শাহ আলম সরকার
সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) বাংগালপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়।
অষ্টগ্রাম,কিশোরগঞ্জ।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.