তাজুল ইসলাম তছলিম, হাতিয়া প্রতিনিধি :
হাতিয়া দ্বীপ উপজেলার জাহাজমারা আমতলিতে ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় এক শিক্ষককে আটক করেছে গ্রামবাসী। আটকের পর শিক্ষককে গণধোলাই দিলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শিক্ষক ও ঐ ছাত্রীর সম্মতিতে গভীর রাতে ৭ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে পরিয়ে দেন তারা। তবে আপত্তিকর অবস্থার কথা অস্বীকার করে তারা দাবি করেন গ্রামবাসী তাদের দুজনকে অন্ধকার বাগানে পেয়ে সন্দেহমূলক আটক করেছে।
শুক্রবার (৫জুলাই) রাত ১১টার দিকে গণধোলাই এর ঘটনাটি ঘটেছে হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের আমতলি গ্রামে। আটককৃত শিক্ষকের নাম সুমন উদ্দিন। সে ফারক মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার বাড়ি আব্দুল লতিফ হাজি বাড়ি, বাবার নাম শেখ আহম্মদ। আর ঐ ছাত্রীর নাম সনিয়া আকতার। সে ফারুক মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। বিদ্যালয়ের সাথে লাগোয়া মেয়েটির বাড়ি।
স্থানীয়রা জানান, সুমন মাস্টারের বাড়ি দূরে হওয়ায় সে স্কুলের একটি কক্ষে রাত্রি যাপন করতো । শিক্ষকতা করার সুবাদে সুমন মেয়েটিকে প্রাইভেট পড়াতো। এ সুযোগে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ঘড়ে উঠে। বিদ্যালয়ের সাথে লাগোয়া মেয়েটির বাড়ি হওয়ায় ও প্রেমের সম্পর্কের টানে দীর্ঘদিন ধরে সে রাতে ঐ বাড়িতে যাতায়াত করতো এবং অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতো। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছিল।
শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রীর বাড়ীতে ঢোকার ঘন্টাখানেক পরেই আপত্তিকর অবস্থায় তাদেরকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে তারা দুজনে বিয়েতে সম্মতি হলে রাতেই তাদের বিয়ে পড়ানো হয়।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে , সুমন আমাদের বিদ্যালয়ের গেস্ট শিক্ষক ছিল, এখন নেই। তাকে মারধর করা হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে সামাজিকভাবে বিয়ে হওয়ার ঘটনা শুনেছি।
ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য জানান, সুমন নিয়মিত শিক্ষক, তাকে আজ শনিবার ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে বিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.