বাকৃবি প্রতিনিধি তানিউল করিম জীম।।
প্রায় ২ বছর আগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নেতৃত্ব নিয়ে অধিকাংশ নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ও কোন্দল দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস ধরেই ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। নতুন কমিটিতে পদপ্রত্যাশী নেতারা নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে বিভিন্ন সময় বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে শোডাউন করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
বিশ^বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মো. সবুজ কাজীকে সভাপতি এবং মিয়া মোহাম্মদ রুবেলকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছর মেয়াদী বাকৃবি ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় এক বছর পর ২১১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ছাত্রলীগের আংশিক হল কমিটি এবং পরে ২০১৯ সালের জুন মাসে ৮টি হলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে নতুন কমিটিতে পদ পাবার আশায় গ্রুপিং রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন অনেকেই। বিভিন্ন সময়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন। গত ৩১ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এর আগে মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে.আর মার্কেটে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হয়। সম্প্রতি ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা বহিরাগত সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সন্ধ্যা ও রাতে মোটরসাইকেল দিয়ে নিয়মিত শো-ডাউন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সবুজ কাজী বলেন, ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে। বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যারা নেতৃত্বে আসতে চায় তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।
বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নতুন কমিটিতে নেতৃত্ব প্রত্যাশী নূর এ আলম তপন বলেন, বর্তমান কমিটির মেয়াদ ২ বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। আমরা চাই এই কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি দেয়া হোক।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.