এইমাত্র পাওয়া

বকশীগঞ্জের যদুরচর দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

  মাসুদ উল হাসান।।

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার যদুরচর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারসহ এক নিয়োগ প্রার্থী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাদ্রাসার সভাপতি ইউসুফ আলী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার সুপারের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ওই পদে ৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন। কিন্তু মাদ্রাসার সভাপতি তার মনোনীত ব্যাক্তিকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করতে থাকেন।

গত ৯ আগষ্ট জামালপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজে নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য্য করা হয়। সভাপতির অনিয়মের কারনে ৮ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৫ জনই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেননি। এমনকি নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার সোলায়মান হোসেনও নিয়োগ পরীক্ষার দিন অনুপস্থিত ছিলেন।

শুধু সভাপতির মনোনীত প্রার্থী ও তার সহযোগী দুইজন পরীক্ষায় অংশ নেন। নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিবের অনুপস্থিতিতেও নিয়োগ পরীক্ষা নেন ডিজি প্রতিনিধি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। তাই এ নিয়োগ কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে নিয়োগ কমিটি করে তারপর স্বচ্ছতার সহিত সুপার নিয়োগের দাবি জানান তারা।

অভিযোগকারী কামরুজ্জামান বলেন,ওই মাদ্রাসার সুপার পদে আমি একজন প্রার্থী। কিন্তু সভাপতির মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতেই আমাকে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়নি। আমি চাই অর্থ নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতেই ওই পদে নিয়োগ দেয়া হোক। তাই কথিত ওই নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষার দাবি জানাই।

মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব সোলায়মান হোসেন বলেন, আমি ওই পদের প্রার্থীনা। গত ৮ তারিখ রাতে আমি গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। কিন্তু মাদ্রাসার সভাপতি আমাকে কিছু না জানিয়ে গত ৯ আগষ্ট সকাল নয়টায় অন্য আরেকজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত সুপার সাজিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছেন। যা আমার জন্য অত্যান্ত অপমানজনক।

এছাড়া গত ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন সকালে আমি মাদ্রাসায় গেলে সভাপতি ও তার লোকজন আমার সাথে খারাপ আচরন করেন। একপর্যায়ে তারা আমাকে জোড়পূর্বক মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন। আমি বিষয়টি তৎক্ষনাত মৌখিক ভাবে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অবগত করি। এছাড়া পরে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি ইউসুফ আলী বলেন,এসব অভিযোগ সঠিক নয়। রেজুলেশনের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই সব কিছু করা হয়েছে। সুপার নিয়োগে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া আমার পছন্দের কোনো প্রার্থী নেই।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন বলেন,আমার দায়িত্ব হলো নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া। নিয়োগের দায়িত্ব ম্যানেজিং কমিটির। নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিবের অনুপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কমিটির সিদ্ধান্তেই নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। কমিটি কাকে নিয়োগ দেবে সেটা তাদের ব্যাপার।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাঈদা পারভীন বলেন,অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.