অধ্যাপক মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ।।
আলহামদুলিল্লাহ্। বাংলাদেশে স্কুল কলেজে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সিলেবাস অনেকাংশেই নারী বান্ধব। রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে দেশের স্কুল কলেজগুলোতে নারী বান্ধব পরিবেশের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। নারীদের মধ্যে অধিকার সচেতনতাও বেড়েছে। স্কুল কলেজে মেয়েদের মধ্যে ইসলাম শিক্ষা পড়বার আগ্রহ প্রবল। যদিও কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ইসলাম শিক্ষা শুধুমাত্র মানবিক শাখায় ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে নেওয়ার সুযোগ আছে তাতেও দেখা যায় মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে ইসলাম শিক্ষা বিষয়।
মেয়েদের স্কুল কলেজে যাওয়া কি শরিআতের দৃষ্টিতে হারাম? এমন জিজ্ঞাসার এককথায় কোনো সরল জবাব নেই। বিষয়টি বিশ্লেষণ সাপেক্ষ। তবে একথা সত্য নারী পুরুষ সবার জন্য পর্দার বিধান মেনে চলা ‘দায়েমি ফরজ’ বা সার্বক্ষণিক বাধ্যতামূলক কর্তব্য। আবার জ্ঞানার্জন করাও ‘প্রত্যেক নর নারীর জন্য ফরজ’। আমি ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে অধ্যাপনার ২৬ বছরের অভিজ্ঞতায় শুনে গর্ববোধ করি, উবঢ়ধৎঃসবহঃ ড়ভ ওংষধসরপ ংঃঁফরবং রং ঃযব ফবঢ়ধৎঃসবহঃ ড়ভ ষধফরবং।
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের সনাম-সুনামে বিশ্বখ্যাত শিক্ষকমÐলীর মধ্যে যাঁদের পেয়েছি তাঁরা হলেন- পরমশ্রদ্ধেয় আল্লামা আজিজুল হক (রহ.), ‘জাতীয় অধ্যাপক’ অধ্যক্ষ দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, ড. হাবিবুর রহমান চৌধুরী, ড. আ. সাত্তার, ড. আ.ন.ম রইছউদ্দিন, ড. আ.র.ম আলী হায়দার, আ. মান্নান খান, মাও. মো. আ. মালেক মাও. মো. আনসার উদ্দিন, ড. আব্দুল বাকী, ড. আ.হ.ম মুজতবা হুসাইন প্রমুখ। তাঁদের ক্লাসে ‘শিক্ষার্থী’কে শিক্ষার্থীই মনে করা হতো, তারা নারী না পুরুষ তা বিবেচ্য ছিল না। সবার কাছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্বই ছিল প্রধান এবং এক্ষেত্রে পর্দার বিধানও উপেক্ষিত হতো না।
মেয়েদের স্কুল কলেজে যাওয়া ও উচ্চশিক্ষার বিষয়টি সার্বিক প্রাসঙ্গিকতায় বিবেচনা করা প্রয়োজন। একথা সত্য, পর্দাজনিত কারণে মহিলাদের বেলায় স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার সুযোগ সীমিত। এজন্যই সহশিক্ষা প্রসঙ্গে মাওলানা আশরাফ আলী (রহ.) যথার্থই বলেছেন “এসব ফিতনা (কদাচার) বা অসুবিধার জন্য শিক্ষা দায়ী নয়, বরং শিক্ষাপদ্ধতি অথবা পাঠক্রম কিংবা ত্রæটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনাই একমাত্র দায়ী”।
২০১৩ সাল থেকে বিশ্বের ১৪০টি দেশে ০১ ফেব্রæয়ারি ‘বিশ্ব হিজাব দিবস’ পালিত হচ্ছে। আশার কথা বাংলাদেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই মেয়েরা আগের চেয়ে অনেকে বেশি পোশাক সচেতন। ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় ২০১২ সালে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ সার্ভে’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে, সুইজারল্যান্ডের উন্নয়ন সংস্থা এসডিসি ও জাতিসংঘের ইউএনডিপির ওই গবেষণায় বাংলাদেশি তরুণীদের হিজাব বা বোরকার দিকে ঝুঁকে পড়বার বিষয়টি উঠে আসে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৭% মুসলিম তরুণীই হিজাব পরিধান করেন। এদের অধিকাংশই হিজাবকে গুরুত্বপূর্ণ পোশাক মনে করেন।
তথ্যমতে, দেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সী ৫০% নারী বোরকা বা হিজাব ব্যবহার করেন। এলাকাভেদে এসংখ্যার তারতম্য রয়েছে। গ্রামে ৬০% এবং বিশেষতঃ সিলেট ও চট্টগ্রামে এহার ৭০%। হিজাব পরিধানে এপ্রবণতা প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রী জানান, এপোশাকে ধর্মীয় অনুপ্রেরণা রয়েছে। সঙ্গে হিজাব বা বোরকার ডিজাইনেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। বর্তমানে দেশে হিজাব বা বোরকার বাজার দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যূরোর এক তথ্য মতে দেশে নিয়মিত হিজাব বা বোরকা ব্যবহারকারী নারীর সংখ্যা অন্ততঃ দুই কোটি বিশ লাখ।
ইসলামি সমাজে শালীনতা রক্ষার প্রয়োজনে পর্দার বিধান পালনে কঠোরতার নীতি অবলম্বন করা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে ‘পর্দা’ নারীর অধিকার ও সম্মানের প্রতীক। পর্দা নারীকে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে। পর্দা নারীকে গৃহপ্রাচীরের অভ্যন্তরে বন্দী জীবনযাপনে বাধ্য করে না।
এজন্যই মেয়েদের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রতি আগ্রহের অন্যতম কারণ, নারীর পারিবারিক আবহ ও ব্যক্তিগত মূল্যবোধ এবং এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিলেবাসে নারী অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি। এতে একজন স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্রীও ইসলামের বিশ্বাস ও প্রায়োগিকতা এবং ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক ইবাদতের গুরুত্ব সম্পর্কিত বিষয় আত্মস্থ করতে পারে। ঈমান-আমল ও ইবাদত, আখলাকের সুস্পষ্ট ধারণা সহজ-সাধারণ সিলেবাসের মাধ্যমে উপস্থাপনের সুবাদে মেয়েরা তার পরিবার, সমাজ ও জাতির প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করে, সহজেই ভালমন্দ ও ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য বুঝতে পারে। এজন্যই সর্বস্তরে ইসলাম শিক্ষার সিলেবাস এমনভাবে প্রণীত হয়েছে, যেন একজন স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্রীও তওহিদ, রিসালাত, আমল, ইবাদত ও আখলাক সম্পর্কে অনুশীলনের দক্ষতা অর্জন করে।
বিশেষতঃ উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আন্তর্জাতিক বিষয় ইত্যাদির নানান দিক সিলেবাসে থাকায় দেশপ্রেম, শিশু অধিকার, নারী অধিকারসহ পারিবারিক জীবনে একজন ছাত্রী তার দায়িত্ব-কর্তব্য ও অধিকার সম্পর্কে সহজেই স্পষ্ট ধারণা পায়। ইভটিজিং, যৌতুক, ধুমপান, মাদকাসক্তি, নারী নির্যাতন, সুদ, ঘুষ, প্রতারণা ইত্যাদি সামাজিক অনচার প্রতিরোধে ইসলামের ভূমিকা জানতে হলেও কলেজ পড়–য়া একজন ছাত্রীর ইসলাম শিক্ষা বিষয়টি অধ্যয়ন করা জরুরি। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পবিত্র কুরআনের সুরা বাকারার ১ম ছয় রুকু, ২৫টি মূল্যবান হাদিস ছাড়াও শিক্ষার্থী জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান, বাংলাদেশের পির-দরবেশ, মসজিদ, মক্তব, তাবলিগ, তাসাউফ, নামায, রোজা, হজ্ব, যাকাতসহ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ নানান দিক সম্পর্কে জ্ঞান পেয়ে থাকে।
বাংলাদেশে অধিকাংশ কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। তাই ডিগ্রি স্তরের ইসলামিক স্টাডিজ সিলেবাসকে অত্যন্ত জীবন ঘনিষ্ঠভাবে বিন্যস্থ করা হয়েছে। বিশেষতঃ ইসলামি সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রব্যবস্থা, অর্থব্যবস্থার পর্যালোচনাসহ বিখ্যাত হাদিসগ্রন্থ মিশকাত শরিফের ঈমান ও বিদ্যা পর্বের বেশ কিছু হাদিস ডিগ্রি স্তরে পাঠ্য। আছে ফিকহ্শাস্ত্রে শরহে বিকায়া গ্রন্থের পবিত্রতা, নামায, রোজা ইত্যাদি সংক্রান্ত অধ্যায়। আল কালাম বা আকাঈদ শাস্ত্রে তাওহিদ, রিসালাত, খতমে নবুওয়াৎ, আসমানি কিতাব, মি’রাজ, মু’জিজা, আখিরাত, জান্নাত-জাহান্নাম সম্পর্কে মৌলিক ধারণা পেতে পারে একজন শিক্ষার্থী।
আনন্দের বিষয় ডিগ্রি পর্যায়ে পবিত্র কুরআনের সুরা নুর, হুজুরাত, ফাতহ্ পাঠ্য। ইসলাম নারী মুক্তি ও স্বাধীনতার রক্ষক। এলক্ষে ‘সুরা নুর’ মহান আল্লাহ্র বিশেষ অনুগ্রহ এবং নারীজাতির অহংকার ও রক্ষাকবচ। এজন্যই হযরত ওমর (রা.) বলেন “তোমরা তোমাদের নারীদেরকে সুরা নুর শিক্ষা দাও”।
কলেজ পর্যায়ে ইসলাম শিক্ষা যেমন নারী বান্ধব তেমনি মানবতার অহঙ্কার। আমি সংক্ষেপে কলেজ পর্যায়ে ইসলাম শিক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে আলোচনা করলাম মাত্র। সর্বপরি উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি পর্যায়ের পুরো সিলেবাস দেখলে যে কেউ স্বীকার করবেন, কলেজে ইসলাম শিক্ষা ঐচ্ছিক নয় বরং বাধ্যতামূলক হওয়াই জরুরি। অন্যদিকে, ইসলাম সব সময়ই নারী অধিকার ও নারী শিক্ষার সমর্থকই নয় বরং রক্ষকও।
ইসলাম নারীর অধিকার ও মর্যাদার নিশ্চয়তা দেয় বলেই পবিত্র কুরআনের একটি সুরার নাম ‘নিসা’ বা নারী। সুরা বাকারা, আল ইমরান, মায়েদা, আহযাব, নুর ইত্যাদিতে নারীর অধিকার ও মর্যাদা সংক্রান্ত বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়।
ইসলাম নারীশিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়। পবিত্র কুরআনের প্রথম বাণী ‘ইকরা’ অর্থাৎ পড়ো। মহান আল্লাহ্র এবিধানের মাধ্যমে জ্ঞানার্জনকে ফরজ করা হয়েছে, যা শুধু পুরুষের জন্য নয় নারীর জন্যও প্রযোজ্য।
অন্যদিকে বিবি খাদিজা (রা.) ছিলেন সর্বপ্রথম মুসলমান, ইসলামের ইতিহাসের সর্বপ্রথম শহিদ হয়েছিলেন একজন নারীÑ তাঁর নাম হযরত সুমাইয়া (রা.)।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, হযরত আয়েশাসহ (রা.) অন্যান্য উচ্চশিক্ষিতা নারী শুধু মহিলাদের নয় পুরষদেরও শিক্ষয়ত্রী ছিলেন। সাহাবী, তাবেঈ এবং বিখ্যাত পÐিতগণ ঐসব পূন্যবর্তী-জান্নাতি নারীর কাছ থেকে হাদিস, তাফসির, ফিকহ্ অধ্যয়ন করেছেন।
হযরত আয়েশা (রা.) ২২১০টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। উম্মে সালমা (র.) ৩৭৮ টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও উম্মে আতিয়া, আসমা বিনতে আবু বকর, উম্মে হানি (রা.) প্রমুখ অসংখ্য হাদিস বর্ণনা করেছেন।
এমনকি তাঁরা অনেক সময় পুরুষদেরকেও দ্বিনি শিক্ষায় সহায়তা করেছেন। এপ্রসঙ্গে আবু মুসা (রা.) বলেন “আমাদের মধ্যে যখনই কোনো হাদিসের বিষয় নিয়ে সমস্যা দেখা দিত, তখন আমরা আয়েশার (রা.) কাছে জিজ্ঞাসা করলে সমাধান পেয়ে যেতাম” (তিরমিযি)। অন্যদিকে আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, “মহিলারা প্রিয়নবীকে (স.) বললো, আপনার কাছে পুরুষরা এতো ভিড় করে থাকে যে, অনেক সময় আমাদের পক্ষে আপনার কথা শোনা সম্ভব হয় না। কাজেই, আমাদের জন্য আপনি আলাদা একটি দিন ধার্য করে দিন। একথা শুনে তিনি (স.) তাদের জন্য একটি দিন নির্দিষ্ট করে দিলেন” (বুখারি)।
স্মরতব্য: ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক ড. আ.র.ম আলী এসুন্নত পালন করেন।
ইসলাম নারীর সব প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। তাই যৌতুক প্রথার স্থলে দেনমোহরের বাধ্যবাধকতা, জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা, ভরণপোষণ লাভের অধিকার, বাঁচার অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সহযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ, নিরাপত্তার অধিকার, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার, বিজ্ঞানচর্চা ও জ্ঞানার্জনে সমতা, ইবাদত, অর্থ উপার্জন ও ব্যয়ে স্বাধীনতাসহ ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সবক্ষেত্রে ইসলাম নারীকে যথার্থ মূল্যায়ন করে। এজন্যই প্রিয়নবী (স.) বলেন “তোমরা নারী জাতির বিষয়ে সতর্ক হও; কেননা, আল্লাহ্কে সাক্ষী রেখে তোমরা তাদেরকে গ্রহণ করেছ” (বিদায় হজ্বের ভাষণ: বুখারি)।
পরিশেষে বলা যায়, দেশে নারী ও পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান সমান, দেশে নারী শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়েছে। নারীদের জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও হচ্ছে। অসংখ্য অপাপবিদ্ধা, পর্দানশীলা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। শরিআত সম্মত উপায়ে মানব সম্পদের বিশাল অংশ নারী জাতির উন্নয়ন ও শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ ইসলাম মঙ্গলময় তৎপরতা হিসেবে বিবেচনা করে। অতএব সময় ও বাস্তবতার দাবি স্কুল কলেজে নারী বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও রক্ষা করা এবং স্কুল কলেজে সব মুসলমান শিক্ষার্থীর জন্য ইসলাম শিক্ষা পাঠের পথ সুগম করা।
ভুলে গেলে ভুল হবে, শিক্ষাঙ্গনে সবার উদ্দেশ্য হতে হবে বৈধ-পবিত্র ও সভ্য। মহান আল্লাহ্ বলেন “আল্লাহ তোমাদের চোখের চুরি ও তোমাদের গোপন মতলব গুলো ভালভাবেই জানেন” (মু’মিন: ১৯)। চারিত্রিক পবিত্রতা ও পর্দা একটি আন্তরিক বিষয় বলেই, মহান আল্লাহ্ আরো বলেন “তোমরা যা প্রকাশ করো ও গোপন করো আল্লাহ্ সে বিষয়ে অবগত আছেন” (নুর: ২৯)। এজন্যই, ‘আলোকিত আগামীর দীক্ষা, কলেজে ইসলাম শিক্ষা’।
লেখক: বিভাগীয় প্রধান ইসলামিক স্টাডিজ কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ কাপাসিয়া গাজীপুর
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.