নীলফামারীঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসায় ১৩ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে ল্যাব সহকারী ও সহকারী সুপার পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘুষের টাকা ভাগ-বাটোয়ারার একটি তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রংপুর বিভাগের সহকারী পরিদর্শক ইমন আমিরকে প্রধান করে কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে ল্যাব সহাকারী ও সহকারী সুপার পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি ওই মাদ্রাসার সহকারী সুপার ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের জন্য অধ্যক্ষের সিল ও স্বাক্ষর সম্বলিত ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৮শ টাকার ভাগ বাটোয়ারার একটি তালিকা প্রকাশ্যে আসায় তোলপাড় শুরু হয় এলাকায়।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক। তিনি বলেন, টাকার বিনিময়ে দুটি পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এনটিআরসি মাধ্যমে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে এখানে যোগদান করেছি। ওই মাদ্রাসার ল্যাব সহকারী নুর আলম সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘুষের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল খালেকের সাংবাদিকদের বলেন, ডায়েরির পাতায় যে স্বাক্ষর ও সিল রয়েছে তা আমার নয়। তিনি আরও বলেন, গত বছর নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ওই দুই প্রার্থী মাদ্রাসায় যোগদান করেছেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০২/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.