এইমাত্র পাওয়া

বিটিএ নেতা বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক কাওছারকে পুনর্বহালের চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের দায়ে রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ী সবুজ বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক কাওছার আহমেদ শেখ বুজ বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চূড়ান্ত বরখাস্ত এবং সেই বরখাস্ত বোর্ডের আপীল এন্ড আরবিট্রেশন কমিটি অনুমোদন করলেও পুনরায় তাকে পুনর্বহালের চেষ্টা করছেন বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী পন্থী একটি চক্র। 

বিটিএ’র (কাওছার পন্থী) একদল শিক্ষক-কর্মচারী কাওছার আহমেদ শেখকে জাতীয়করণের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে দাবি করে শেখ হাসিনার আমলের শেষ সময়েও মাঝে মাঝে রাজপথে সরব ছিলেন। অথচ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালেও কাওছারের নেতৃত্বে বিটিএ একদিনের জন্য জাতীয়করণের দাবি তোলেন নি। 

আরও পড়ুনঃ কোটি টাকা দুর্নীতি: চূড়ান্ত বরখাস্ত বিটিএ সেক্রেটারি কাওছার শেখ

জানা গেছে, কাওছার শেখ বরখাস্ত হবার পরে সবুজ বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক এ বি এম মিয়াজুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা পতনের পর তিনি কাওছারকে পুনর্বহাল এবং আওয়ামি পন্থী শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। বিএনপিপন্থী শিক্ষক-কর্মচারীদের তিনি তটস্থ করে রেখেছেন। 

আরও পড়ুনঃ দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক কাওছার, অধ্যক্ষ পদে পুনর্বহাল চায় বিটিএ

বিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারে ইলেকটনিকস ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) বেতন-ভাতা দিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের মৌলিক তথ্য ইএমআইএস সেলে আপলোড কার্যক্রমের নির্দেশনা দেয় মাউশি। নির্দেশনা মতে কাওছার আহমেদ শেখ চুড়ান্ত বরখাস্ত হলেও তাকে বরখাস্ত না দেখিয়ে কর্মরত দেখিয়ে ইএমআইএস সেলে  কাওছারের ডাটা ইনপুট প্রদান করে। 

আরও পড়ুনঃ কোটি টাকা দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত বিটিএ সেক্রেটারি কাওছার

বিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিদ্যালয়টিতে যারা বিএনপিপন্থী শিক্ষক-কর্মচারী ছিলেন তাদের কোন কথায় শুনতে চান না ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। আওয়ামী পন্থীদের পুনর্বাসন করতে তিনি উঠে পরে লেগেছেন। 

আরও পড়ুনঃ বিটিএ সেক্রেটারি কাওছার: বরখাস্ত প্রত্যাহার চায় বিটিএ, বিচার চায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ বি এম মিয়াজুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মাউশির কর্মকর্তারা বলছেন, যারা চূড়ান্ত বরখাস্ত হয়েছেন কিন্তু ইনডেক্স এখনও কর্তন হয়নি ইফটিতে আলাদা ইনপুট দেওয়ার অপশন আছে। সেটা ব্যত্যয় ঘটিয়ে যদি শুধু কর্মরত দিয়ে বেতন উত্তোলনের সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে সে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/১২/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.