ঝালকাঠিঃ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার সুপারসহ শিক্ষক-কর্মচারিরা সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো মাদরাসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ২টা ১০মিনিটে মাদরাসায় গিয়ে দেখা গেছে বন্ধ। জাতীয় পতাকাও নেই। অফিস ও শ্রেণিকক্ষে ঝুলছে তালা।
স্থানীয়রা অভিযোগে জানায়, প্রতিদিন দুপুর হলেই মাদরাসা ছুটি দেওয়া হয়। এরপর দেড়টা ২টা টার দিকে মাদরাসা তালা ঝুলিয়ে মাদরাসার সুপারসহ শিক্ষক-কর্মচারিরা চলে যান। এছাড়া সুপার বিভিন্ন অজুহাতে যথাযথভাবে মাদরাসায় উপস্থিত থাকেন না। উপজেলা মিটিং ও কাজের দোহাই দিয়ে অনুপস্থিত থাকেন তিনি। ওই মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারিদের এমন উদাসিন কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম এবং সঠিকভাবে পাঠদানও হয় না। স্থানীয়দের ক্ষোভ মাদরাসাটিতে ১১ জন শিক্ষক ও ৫ জন কর্মচারিসহ মোট ১৬ জন শিক্ষক কর্মচারি মাসে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বেতন উত্তোলন করলেও দুপুরেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, নেই তেমন শিক্ষার্থী-যথাযথভাবে মাদরাসায় আসে না সুপারসহ শিক্ষকরা। হয় না সঠিকভাবে পাঠদান।
মাদরাসার সুপার জুলফিক্কার আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাদরাসা বিরতি না দিয়ে একবারে ২টায় ছুটি দেওয়া হয়। বেশ কয়েকদিন ধরেই এ নিয়ম করা হয়েছে, তবে ইউএনও বা উপজেলা শিক্ষা অফিসকে বিষয়টি জানানো হয়নি, তাদের জানানো হবে। এছাড়া ওই এলাকায় একটি মাহফিলের আয়োজন চলায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তফা আলম বলেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাদরাসা পাঠদানের সময়। এর ব্যত্যয় ঘটলে তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে, এ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজাপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাদরাসার সভাপতি রাহুল চন্দ জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/১১/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.