ঢাকাঃ ফরিদপুরের ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর ও তার স্ত্রী জামিলা পারভীন কুমকুমের নামে থাকা ১১ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ (ক্রোক) করে দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ১৬ অক্টোবর এ দম্পতির নামে অর্জিত জ্ঞ্যাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক ইমরান আকন। ওই দিনই তা মঞ্জুর করেন ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জিয়া হায়দার। রোববার (২০ অক্টোবর) এ সম্পদ ক্রোকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান ইমরান আকন।
তিনি জানান, তুহিন লস্করের নামে ঢাকার মিরপুর বিজয় রাকিন সিটি প্রজেক্টে অবস্থিত ১ কোটি ২৮ লাখ টাকার একটি আধুনিক ফ্ল্যাট এবং স্ত্রী কুমকুমের নামে গোপালগঞ্জ জেলা সদরের চাঁদমারী এলাকার খাটরা মৌজায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬ তলা একটি আধুনিক বাড়ি রয়েছে, যা আয়কর বহির্ভূত সম্পদ।
তিনি জানান, এর আগে গত ৭ আগস্ট এ দম্পতির প্রায় ৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ক্রোক করা হয়। এ নিয়ে এ দম্পতির প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করা হলো।
এর বাইরে তুহিন ও জামিলার ব্যাংকে জমা ১ কোটি ৬ লাখ ১৭ হাজার ২৯১ টাকাসহ ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। অবৈধ উপায়ে এসব সম্পদ অর্জন করা হয়েছে বলে দাবি দুদকের।
অভিযুক্ত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর ফরিদপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত হলেও বর্তমানে প্রেষণে রংপুরে আছেন।
সম্পদ ক্রোকের বিষয়ে তুহিন লস্কর বলেন, ঢাকায় আমার নামে কোনো ফ্ল্যাট নেই। গোপালগঞ্জের বাড়ি আগে ক্রোক করে আবার নতুন করে ক্রোক দেখানো হচ্ছে। বাড়ি নির্মাণের ব্যয় দুদক বেশি দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নোটিশের নিষ্পত্তি না করে এসব করা হচ্ছে। আমার সব সম্পত্তি আয়করের আওতাধীন। এখানে জালজালিয়াতির কিছু নেই। তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। মামলা না করে দুদকের সম্পদ জব্দের তৎপরতা হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ বিষয়ে দুদকের ফরিদপুরের উপপরিচালক রতন কুমার দাস বলেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের আদেশে ক্রোক করা হয়েছে এবং রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। হয়রানি করার জন্য করা হচ্ছে, এটি সঠিক নয়।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/১০/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.