এইমাত্র পাওয়া

যে ৩ কারণে রিজিকে বরকত হয় না

আবরার নাঈম, মুহাদ্দিস।।

রিজিক আরবি শব্দ। অর্থ জীবিকা, খাদ্য। এটা আভিধানিক অর্থ। তবে রিজিকের অর্থ ব্যাপক। ভাত-রুটিও যেমন রিজিক, তেমনই সুস্থতাও আল্লাহ প্রদত্ত মহারিজিক। ভালো কাজকর্মে যেমনিভাবে আল্লাহ রিজিক বৃদ্ধি করেন। তেমনিভাবে কিছু কিছু কাজের কারণে আল্লাহ বান্দার রিজিক সংকীর্ণ করে দেন। কিছু কারণ এখানে উল্লেখ করা হলো:

১. পাপকাজে লিপ্ত হওয়া: ভালো ও নেক কাজে আল্লাহ খুশি হন আর বদ ও মন্দ কাজে আল্লাহ নাখোশ হন। শুধু নাখোশ হন না, বরং তার রিজিকও সংকীর্ণ করে দেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৎকর্ম ছাড়া অন্য কিছু আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারে না এবং দোয়া ছাড়া অন্য কিছুতে তাকদির রদ হয় না। মানুষ পাপকাজের দরুন তার প্রাপ্য রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়।’ (ইবনে মাজাহ: ৪০২২)

২. প্রাপ্ত নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা: সব মানুষই আল্লাহর অফুরন্ত নিয়ামতে ডুবে আছে। সেসব নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা মানুষের জন্য আবশ্যক। শুকরিয়া আদায় করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়। বিপরীত হলে রিজিক সংকীর্ণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের আরও বেশি দেব; আর যদি অকৃতজ্ঞ হও, তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি কঠোর।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)

৩. হারাম উপার্জন করা: রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এ পৃথিবীর ধনদৌলত সুমিষ্ট। যে ব্যক্তি তা সৎভাবে গ্রহণ করবে এবং সৎভাবে ব্যয় করবে, তা তার খুবই উপকারী হবে। আর যে তা অন্যায়ভাবে গ্রহণ করবে, সে ওই ব্যক্তির মতো যে খেতে থাকে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হয় না।’ (বুখারি: ৬৪২৭)


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.