এইমাত্র পাওয়া

জাল সনদধারী সহকারী প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবি

জয়পুরহাটঃ জেলার কালাই উপজেলায় জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়া এক সহকারী প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে রবিবার দুপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার প্রধান সড়কে স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সুধিজনদের নিয়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বকুল কালাই ময়েনউদ্দিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে গত ১৩ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিয়োগের সময় দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএডের জাল সনদপত্র ব্যবহার করে চাকরি লাভ করেছেন।

চলতি বছরের ১৪ জুলাই দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় তার জাল সনদ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করেন। এতে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের পক্ষ থেকে মো. মুনছুর রহমান জানান, সাইফুল ইসলামের নিয়োগের সময় আমরা বলেছিলাম বির্তকিত এই শিক্ষককে চাকরি না দেওয়ার জন্য। কিন্তু তৎকালীন সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান তালুকদার স্বজনপ্রীতি ও নিজ দলের অনুগত হিসাবে সুবিধাভোগী এই শিক্ষককে নিয়োগ দেন।

আমরা কোনো বির্তকিত শিক্ষককে স্কুলে দেখতে চাই না। আমরা এই নিয়োগের সঙ্গে জড়িত সকলের বিচার দাবি করি।
বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো.ইউসুফ মন্ডল বলেন,‘এই ধরনের ঘটনা আমাদের শিক্ষার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

স্থানীয় সুধিজন মো.সিরাজুল ইসলাম বলেন,‘এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি ঘটনা। একজন শিক্ষক যদি জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেন, তাহলে আমাদের সন্তানদের কি শিক্ষা দেবেন? আমরা অবিলম্বে তার অপসারণ চাই এবং তার স্থলে একজন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাই।’

অভিযোগের বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম বকুল বলেন,‘আমি এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করছি। ইতোপূর্বে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে তেরটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল এবং বর্তমানে মহামান্য হাইকোর্টে জাল সনদ বিষয়ে মামলার শুনানি রয়েছে। আশা করি সেখানেও ন্যায়বিচার পাব।

কালাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোনোয়ারুল হাসান বলেন, ‘শুনেছি সাইফুল ইসলামের সনদের বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টে মামলার শুনানি রয়েছে। তবে তার সনদের সঠিকতা নিয়ে সন্দেহ আছে। দলীয় প্রভাবের কারণে তার সনদের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করা সম্ভব হয়নি।’

জয়পুরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন (ভারপ্রাপ্ত) জানান , ‘অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে তদন্ত শেষে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার মান ধরে রাখতে আমাদের প্রশাসন সর্বদা সতর্ক থাকবে।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১২/০৮/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.