এইমাত্র পাওয়া

টাইফয়েড নিয়েই রোগী সেবায় ইন্টার্ন চিকিৎসক

সিলেটঃ এক সপ্তাহ আগে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ডা. সুবীর কুমার শীল। এর মধ্যে তিনি জ্বর কাশিতে আক্রান্ত হন। আস্তে আস্তে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়। পরে দায়িত্বের টানে জ্বর, কাঁশি আর মাথাব্যথা নিয়ে ওয়ার্ডে রোগী দেখেন।

জানা গেছে, শেষমেশ শরীর নিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না ডা. সুবীর। পরে হাসপাতালের স্টাফ কেবিনে ভর্তি হন নিজে নিজেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্টে ধরা পড়ে ডা. সুবীরের টাইফয়েড জ্বর হয়েছে। কমপক্ষে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকতে হবে এবং থাকতে হবে পরিপূর্ণ বিশ্রামে। ১০ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ হাসপাতালে যত কম সময় থাকবেন নসোকমিয়াল ইনফেকশনের ঝুঁকি তত কম হবে।

আরও জানা গেছে, এমতাবস্থায় বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ডা. সুবীর। কিন্তু হাসপাতালে রোগীরা তো আর বসে নেই, পরীক্ষা-নিরীক্ষাও থেমে নেই। নিয়মিত চালাতে হয় হাসপাতালে রোগী ভর্তির কার্যক্রম, অবিরত চিকিৎসা দিতে হয় রোগীদের।

গত ১ মে বিশ্ব শ্রমিক দিবস সরকারি ছুটির দিন হাসপতালে এডমিশন ডিউটি পড়ে ডা. সুবীরের। তাঁর কি আর করার, হাতে ক্যানুলা আর পরনে অ্যাপ্রোন নিয়ে চলে আসেন হাসপাতালের ওয়ার্ডে। একের পর এক রোগীর চিকিৎসাপত্র লিখে দেন তিনি। ডা. সুবীর নিজে অসুস্থতা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে আরও মাস খানেক। তারপরও দায়িত্বের টানে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন রোগীদের।

ডা. সুবীরের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ‘এভাবেই হাজারও চিকিৎসক নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.