যশোরঃ জাল নিবন্ধন সনদে ১৪ বছর ধরে চাকরি করে আসছিলেন যশোরের মনিরামপুরের বাহিরঘরিয়া-গোপালপুর আলিম মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক হাদিউজ্জামান। মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অ্যাসিস্ট্যান্ড পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট বশির আহমেদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, বাহিরঘরিয়া-গোপালপুর আলিম মাদ্রাসায় ২০১০ সালের ১৫ জুন ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ পান হাদিউজ্জামান। পরবর্তী সময়ে তিনি এমপিওভুক্ত হন। সেই থেকে ওই মাদ্রাসায় প্রভাষক হিসেবে তিনি চাকরি করে আসছেন। কিন্তু নিয়োগের পর হাদিউজ্জামানের দাখিলকৃত নিবন্ধন সনদটি জাল বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু মাদ্রাসার আগের কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে চাকরি করে আসছিলেন হাদিউজ্জামান।
তবে ওই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান গভর্নিং বডির সভাপতি ডা. আতিউর রহমান শিক্ষক হাদিউজ্জামানের জাল নিবন্ধন সনদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে গত বছর ইউএনও জাকির হোসেনের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এরপর সনদটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গত বছরের ১৫ নভেম্বর এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে এনটিআরসিএ থেকে হাদিউজ্জামানের সনদটি ভুয়া ও জাল উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলার নির্দেশনা দিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি মাদ্রাসায় পত্র পাঠান সহকারী পরিচালক (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন-৩) তাজুল ইসলাম। এরপর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল মালেক বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ হাদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
এদিকে জাল নিবন্ধন সনদে নিয়োগের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পরও হাদিউজ্জামানকে চাকরি থেকে বহিষ্কার না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি ডা. আতিউর রহমান জানান, হাদিউজ্জামান কমিটির অধিকাংশ সদস্যকে ম্যানেজ করে ফেলায় তাঁকে বহিষ্কার করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল মালেক বলেন, হাদিউজ্জামানকে বহিষ্কারের বিষয়ে কয়েকটি সভা আহ্বান করা হলেও কমিটির অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত হননি। তবে দু-এক দিনের মধ্যে আবারও এ বিষয়ে সভা ডাকা হবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.