এইমাত্র পাওয়া

চলতি বছরের মধ্যেই জাতীয়করণের দাবি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঈদুল ফিতরের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতা চান এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এছাড়া চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা, সরকারিভাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সকল নিয়োগ দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট’।

শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্বাধীনতা হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান মহাজোটের নেতারা।

এ সময় তারা তাদের দাবি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূরণ না করে তাহলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

তাদের অন্যান্য দাবি, এমপিওভুক্ত প্রধান শিক্ষকদের ৬নং গ্রেডে ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ৭নং গ্রেডে বেতন প্রদান, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো সমসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া এবং মাধ্যমিক ডিজি আলাদাকরণপূর্বক এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনে আনুপাতিক হারে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া।

সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক-১ ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মওলানা দেলোয়ার হোসেন আজিজীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাজোটের সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আহমদ।

লিখিত বক্তব্যে জসিম উদ্দিন বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২০১৮ সাল থেকে জোটভিত্তিক টানা আন্দোলনের ভিত্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যাবতীয় বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দেওয়া হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের যৌক্তিকতা নিয়ে একটি প্রশাসনিক ও একটি আর্থিক কমিটি গঠনেরও আশ্বাস দেওয়া হয়। এতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বকেও কমিটিতে রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৭ ও ২৮ জুলাই গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে দুই দিনের একটি কর্মশালা শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডিজি মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষার অফিসারবৃন্দের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। কর্মশালায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের বিষয়ে তাদের মতামত লিখিতভাবে প্রদান করেন।

শিক্ষা প্রশাসনের নেতারা কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে আশ্বাস দিয়েছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরী অফিসাররা বসে শিক্ষকদের মতামতের যৌক্তিকতা যাচাই করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের বিষয়ে একটি সমন্বিত প্রস্তাব তৈরি করা করা হবে। শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে সমন্বিত প্রস্তাবসমূহ চূড়ান্ত করে তা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হবে। কিন্তু তা এখনও আলোর মুখ দেখেনি।

মওলানা দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ঈদে আমাদের অপমানজনক ও লজ্জাজনক বোনাস দেওয়া হয়। বড় বড় মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পক্ষে জাতীয়করণ করা কোনো ব্যাপারই না। অথচ পাঁচ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা দিতে মাত্র ৫০০ কোটি টাকা লাগবে। সরকারের পক্ষে এটা দেওয়া কোনো বিষয়ই না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মেজবাউল ইসলাম প্রিন্স, বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. শাহ আলম, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান ও বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৩/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.