সিরাজগঞ্জঃ তিনটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চারটি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে প্রায় দুই দশক আগে। সেই সঙ্গে পাঠদানের অনুমতি, একাডেমিক স্বীকৃতিও রয়েছে। যথা নিয়মে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সবই চলছে। শধু হয়নি এমপিওভুক্ত। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও নেই।
আর সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রায় দুই যুগেও তিনটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চারটি কলেজসহ মোট সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ায় সেখানে কর্মরত দেড় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
তারা বলছেন, চাকুরিরত অনেকের বয়স শেষ হতে চললেও প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত না হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারী। আর এভাবে কত দিন চলে। এমন প্রশ্নও রাখেন এমপিও বঞ্চিত একাধিক শিক্ষক-কর্মচারী।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে দিঘী সগুনা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০০৪ সালে মাধাইনগর আদিবাসী আদর্শ কলেজ, ২০১১ সালে জহির উদ্দিন বিজ্ঞান ও কারিগরি কলেজ, ২০১৩ সালে রানীর হাট আইডিয়াল কলেজ, তালম টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজসহ ২০০৩ সালে বলদী পাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং তাহিরা হক বিজ্ঞান স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়। আর প্রতিষ্ঠার পর এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ড থেকে পাঠদানের অনুমতি এবং একাডেমিক স্বীকৃতিও পান। এরপর সব প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে নিয়ম মেনে প্রায় এক হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাচ্ছেন। পাশাপাশি বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু এ উপজেলার সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য নিয়ম মেনে আবেদন করলেও দীর্ঘ সময়ে এমপিওভুক্ত হয়নি।
২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মাধাইনগর আদিবাসী আদর্শ কলেজের ভূগোল প্রদর্শক মো. রেজাউল করিম বলেন, এমপিওভুক্ত হলে বেতন-ভাতা পাবো। এ আশায় কেটে গেছে বিশ বছর। কিন্তু বেতন-ভাতা ছাড়াই কষ্টে চলছি। যা বলার মত না।
আর ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মান্নান বলেন, আদিবাসী অধূষ্যিত তাড়াশের এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী অনেক। মূলতঃ বাড়িতে খেয়ে পড়ে এলাকার নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া এলাকাবাসীর ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখার সুযোগও পাচ্ছে। আর কলেজ থেকে এ পর্যন্ত ১৬টি ব্যাচে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী এইচএসসি পাশ করলেও শুধু হয়নি প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত। আর বিশ বছর একটি প্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতা না হাওয়ায় কর্মরত ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
আবার ২০০৩ সালে দিঘী সগুনা নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, চাকরির বয়স শেষের দিকে কিন্ত গত ২১ বছরেও প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হল না। অথচ চাকরির বয়স রয়েছে আর ১০ থেকে ১২ বছর। আর এ অবস্থা শুধু শিক্ষক শিহাব উদ্দিনের না। উপজেলার নন এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক এবং কর্মচারীদের অনেকের।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, এমপিওভুক্তির বিষয়টি শিক্ষা বিভাগের। আর আমরা সংশ্লিট বিভাগ থেকে এমপিওভুক্তির জন্য তথ্য চাইলে যথাযথভাবে পাঠিয়ে দেই। সমকাল
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/০২/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.