নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (কলেজ) কর্মরত এমপিওভুক্ত ল্যাব সহকারীদের গ্রেড বৈষম্য দূরীকরণ ও ল্যাব সহকারীদের পদ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট কর্ম নীতিমালার দাবি চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন ল্যাব সহকারীরা।
আজ রবিবার ল্যাব সহকারিদের পক্ষে এই রিট পিটিশন দায়ের করেন সাবেক সহকারী এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন ।
জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ল্যাবরেটরী সহকারীদের বেতন গ্রেড ১০ম এবং অন্যান্য অধিদপ্তরে ল্যাব সহকারীদের সর্বনিন্ম বেতন গ্রেড ১৬তম। অন্যদিকে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী, ল্যাব সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৩ তম কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কলেজ পর্যায়ে বিজ্ঞান ও আইসিটি বিভাগে ল্যাব সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৮তম। যেখানে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী যে পদের বিপরীতে যে গ্রেড তা পেলেও এক্ষেত্রে বঞ্চিত এমপিওভুক্ত এই ল্যাব সহকারীরা। এছাড়াও ল্যাব সহকারীদের কোন কর্ম নীতিমালা না থাকায় কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে ল্যাব সহকারীদের দিয়ে ল্যাবের বাহিরেও বিভিন্ন কাজ করানো হয়। অনেক সময় দেখা যায় এমপিও নীতিমালা অনুসারে ২০তম গ্রেডে কর্মরত কর্মচারীদের যে কাজ, সেই কাজও ১৮তম গ্রেডে কর্মরত ল্যাব সহকারীদের দিয়ে করানো হয়। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে গ্রেড বৈষম্য ও কর্মনীতিমালার দাবি জানিয়ে আসছে কলেজ শাখার এমপিওভুক্ত ল্যাব সহকারীদের সমন্বয়ে গঠিত “বাংলাদেশ ল্যাব সহকারী ঐক্য পরিষদ। তারা মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়, মাউশিতে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার দাবি জানিয়ে স্বারকলিপি দিয়েছেন ইতিমধ্যে। কোনো সমাধান না হওয়ায় মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তারা।
আরও পড়ুনঃ
- নানা বৈষ্যমের শিকার এমপিওভুক্ত কলেজের ল্যাব সহকারীরা
- গ্রেড বৈষম্য নিরসন ও কর্ম নীতিমালার দাবি ল্যাব সহকারীদের
এর আগে বিভিন্ন দপ্তরে দাবি জানিয়ে আসছিল সংগঠনটি। দাবিগুলো হলোঃ-
বিভিন্ন অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় করে ল্যাব সহকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম এইচ.এস.সি, ২য় বিভাগ করা, বিভিন্ন অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় করে ল্যাব সহকারীদের নূন্যতম বেতন গ্রেড ১৪ বা ১৬ প্রদান করা ,জরুরী ভিত্তিতে ল্যাব সহকারীদের জন্য প্রযোজ্য সম্মান কর্ম নীতিমালা প্রদান করা,সরকার কর্তৃক বেসরকারী কলেজের জন্য ঘোষিত বার্ষিক ছুটি তালিকা অনুসারে ল্যাব সহকারীগণ ছুটি ভোগ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা,ল্যাব সহকারী পদটি একাডেমিক সেটি কর্মনীতিমালায় উল্লেখ করা ও ব্যবহারিক ক্লাস শেষে ল্যাব সহকারীদের বসার জন্য চেয়ার ও টেবিল প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা এবং ইতোমধ্যে নিয়োগ প্রাপ্তদের জন্য সকল শর্ত শিথিলযোগ্য করা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ল্যাব সহকারী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিতোষ রায় শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ল্যাব সহকারী পদে কেউ পায় ১০ম গ্রেডে কেউ পায় ১২ বা ১৩ গ্রেড আর আমরা সেই একই পদে কর্মরত থেকে পাচ্ছি ১৮ তম গ্রেড। আমরা এই বৈষম্যের নিরসন, কর্ম নীতিমালা এবং একই সাথে ল্যাব সহকারীদের নিয়োগ বিজ্ঞানে বিভাগে এইচএসসি করার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। এজন্য বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার স্বারকলিপিও দিয়েছি। কোনো সমাধান না পেয়ে অবশেষে আমাদের মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হলো।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৭/০৮/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.