এইমাত্র পাওয়া

জাল সনদে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক!

বাউফল উপজেলার নয়াহাট ভিডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহানুর হোসেন জাল শিক্ষা সনদ দিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, একসময় নয়াহাটা ভিডিসি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদ সাহানুর হোসেন প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি নেন। সরকার সকল রেজিস্টার্ড প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণের পর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পরিপত্র অনুযায়ী মোহাম্মদ সাহানুর হোসেন প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি করার যোগ্যতা হারান। কারণ ওই পরিপত্র অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি করতে হলে শিক্ষা সনদের যে কোনো একটিতে দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে। কিন্তু মোহাম্মদ সাহানুর হোসেনের কোনো শিক্ষা সনদে দ্বিতীয় বিভাগ নেই। তিনি ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মানবিক শাখায় তৃতীয় বিভাগ এবং ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে বাউফল কলেজের মানবিক শাখা থেকে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন।

এই সনদ দিয়েই তখন তিনি নয়াহাট ভিডিসি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি নেন। এরপর সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি টিকিয়ে রাখতে তিনি তার ওই দুটি শিক্ষা সনদ ঘষামাজা করে তৃতীয় বিভাগের স্থলে দ্বিতীয় বিভাগ সৃজন করে প্রধান শিক্ষক পদে বহাল থেকে বেতন-ভাতাসহ সুবিধা ভোগ করে আসছেন। আবুল কালাম নামের ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। বেকায়দায় পড়েন তিনি।

প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহানুর হোসেন বলেন, আমি কোন জাল সনদ দিয়ে পদোন্নতি নেইনি।

বাউফল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওই প্রধান শিক্ষককে তার মূল সনদ জমা দিতে বলা হয়েছে।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading