শিক্ষক প্রতিনিধিকে তুলে নিয়ে স্বাক্ষর নিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রার্থী
নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুরঃ সভাপতি নির্বাচনের আগেই সভাপতি পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে শিক্ষক প্রতিনিধিকে জোর করে তুলে নিয়ে সভাপতি পদে ভোট দিয়েছে মর্মে রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনানাটি ঘটেছে জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার পানবর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নির্বচানকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ উঠেছে মাদরাসাটির সাবেক এডহক কমিটির সভাপতি ও পর পর দুই বারের নিয়মিত কমিটির সভাপতি স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাসানুজ্জামান হাসানের বিরুদ্ধে। আর ভুক্তভোগী হচ্ছেন মাদরাসাটির শিক্ষক ও সদ্য ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের শিক্ষক প্রতিনিধি হারুন অর রশিদ।
মাদরাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ পানবর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় মাদরাসাটির ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অভিভাবক, শিক্ষক ও অন্যান্য ক্যাটাগরির মোট নয়জন সদস্য নির্বাচনে জয়লাভ করে। তবে এই নির্বাচনে সাবেক এডহক ও পর পর দুইবারের নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসানের মদদপুষ্ট মাত্র তিন জন সদস্য নির্বাচিত হয়। এতে সভাপতি পদে জয় লাভ করতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পরেন তিনি। এরপর গত ২৭ মার্চ রাতে সদ্য নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি হারুনকে উপজেলার উত্তর পানবর এলাকা থেকে তারাবারির নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হলে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটির দূরে নকলা উপজেলায় নিয়ে গিয়ে জোরজবরদস্তি করে রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর করে নেন।
সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচিত তিনজন অভিভাবক সদস্য ও মাদরাসাটির সভাপতি পদপ্রার্থী আব্দুল হালিমসহ শিক্ষক হারুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ দেন। মৌখিক অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যানেজিং কমিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা ঐ শিক্ষককে আশ্বস্ত করেন যে স্বাক্ষর তার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। আগামী ৩ এপ্রিল সভাপতি নির্বাচনে যে ভোট হবে সেখানে এর কোন কার্যকারিতা নেই। সেই সাথে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হাসানুজ্জামান হাসান যাতে ঐ শিক্ষক এবং নির্বাচিত সদস্যদের উপর আর কোন প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়ে তাকে (হাসানুজ্জামান) সতর্ক করে দেওয়া হবে।
মৌখিক অভিযোগের সময় উপস্থিত থাকা আব্দুল হালীম শিক্ষাবার্তা'কে বলেন, জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে স্বাক্ষর নেওয়ায় হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে শিক্ষক প্রতিনিধি হারুন ইউএনও মহোদয় এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করলে তারা বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। সেই সাথে জোর করে নেওয়া সেই স্বাক্ষরে কোন কাজে আসবে না বলেও জানিয়েছেন। আগামী ৩ এপ্রিল নির্বাচনের দিন যা হবে সেটাই চুড়ান্ত বলে জানান তিনি।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদনকৃত মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির চিঠি থেকে জানা গেছে, মোঃ হাসানুজ্জামান ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখে প্রথমবারের মত পানবর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখে দ্বিতীয়বার সভাপতি নির্বাচিত হন। পর পর দুইবার নির্বাচিত হবার পর ২০২২ সালের নভেম্বরের ১৪ তারিখ তিনি মাদরাসাটির ম্যানেজিং কমিটির (এডহক কমিটি) সভাপতি হন। তবে পর পর দুই বারের বেশি সভাপতি বা সদস্য পদে থাকতে পারবে না মর্মে হাইকোর্টের সুস্পষ্ট রায় থাকলেও বর্তমানে হাসানুজ্জামান পুনরায় সভাপতি নির্বাচনের জন্য তোড়জোড় শুরু করে মারমুখী ভুমিকা পালন করছেন।
জানা গেছে, হাসানুজ্জামান হাসান নালিতাবাড়ি উপজেলার গোজাকুড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক (যার ইনডেস্ক নম্বর N56807648)। ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ৭ এর উপধারা ২ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে, কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষক শ্রেণির কেঊ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না। প্রবিধানমালায় ‘শিক্ষক’ শ্রেণি বলতে অর্থ মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কোন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণকালীন শিক্ষাদানের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, এবং প্রদর্শক ও শরীরচর্চা শিক্ষকও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন।
তবে প্রবিধিমালা উপেক্ষা করেই তাকে এই কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করা হলে, মাদরাসা বোর্ডের দাখিল শাখার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, হাসানুজ্জামান হাসান যে শিক্ষক তা আমরা জানতাম না। সভাপতি নির্বাচিত হবার পর প্রস্তাবিত কমিটি বোর্ড শুধু অনুমোদন দেয়। তিনি যে শিক্ষক এ বিষয়ে যদি আমাদের কাছে কেউ লিখিত দিতেন তাহলে সেই কমিটি আমরা বাতিল করে দিতাম। আপনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম পুনরায় যদি তাকে (হাসান) প্রস্তাবিত কমিটিতে সভাপতি পদে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় তাহলে আমরা সেই কমিটি অনুমোদন দিব না।
স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা সদস্য পদে কোন ব্যক্তি পর পর দুইবারের বেশি থাকতে পারবে না মর্মে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে একটি রায় দেন হাইকোর্ট। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৩ এ সেটি চুড়ান্ত করা হয়েছে যা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আছে।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার শিক্ষাবার্তা'কে বলেন, প্রবিধানমালার সংশোধন কাজ শেষ হয়েছে। এখন এটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো রয়েছে। এর পর এই প্রবিধানমালার সরকারি আদেশ জারি হবে। এতে পর পর দুইবারের বেশি কেউ সভাপতি হতে পারবেন না।
মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, হাসানুজ্জামান হাসান পর পর দুইবার সভাপতি থাকাকালে মাদরাসাটিতে মোট পাঁচটি নিয়োগ দেন। এর মধ্যে অফিস সহকারী দুই জন, নৈশ্যপ্রহরী এক জন, আয়া একজন, লাইব্রেরিয়ান একজন। আর এই নিয়োগ দিয়ে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা লেনদেন করেন হাসানুজ্জামান হাসান ও মাদরাসাটির সুপার আবুল কালাম। মাদরাসার চার একর জমি রয়েছে। যা প্রতি বছর লিজ দেওয়া হয় প্রায় লক্ষাধিক টাকায়। গত পাঁচ বছরে জমির লিজের প্রায় এই পাঁচ লাখ টাকা হাসান এবং সুপার মিলে আত্মসাৎ করেছে। মাদরাসা ফান্ডে এক পয়সাও জমা দেননি। গত কয়েকবছর ধরে মাদরাসার চারটি ওয়াস রুম নষ্ট হয়ে থাকলেও সেটা মেরামত পর্যন্ত করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদরাসাটির বেশ কয়েকজন অভিভাবক ও শিক্ষক বলেন, বর্তমানে আরও দুই জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে হাসানুজ্জামান ও সুপার মিলে অগ্রিম অর্থ নিয়েছেন চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীর কাছ থেকে। এর মধ্যে ল্যাব সহকারী পদের জন্য একজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা অগ্রিম নিয়েছে। এখন কমিটিতে আসতে না পারলে তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। তাই তিনি কমিটিতে আসার জন্য তোরজোড় শুরু করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষক বলেন, মাদরাসার নামে জাতীয় সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা আছে। সেই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার অর্থ গত কয়েকবছর ধরে মাদরাসার ফান্ডে জমা না দিয়ে সুপার এবং হাসান মিলে আত্মসাৎ করেছেন। শুধু তাই নয় হাসান সভাপতি হবার পর গত বিশ বছরের মাদরাসার ফান্ডে যে অর্থ জমা ছিল সেটাও তুলে খেয়ে ফেলেছেন।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন, হাসানুজ্জামান হাসান আইনগতভাবে যদি সভাপতি নির্বাচন করতে না পারে তাহলে তার বাবা ওমর আলীকে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাবেন। যে করেই হোক তিনি এই পদ তার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যেতে দিবেন না। এই জন্য ইতিমধ্যে তিনি তার যুবলীগের পদ পদবী ব্যবহার করে মোটরসাইকেল শোডাউন দেওয়া শুরু করেছেন।
জানতে চাইলে হাসানুজ্জামান হাসান শিক্ষাবার্তা'কে বলেন, আমি এবার আর নির্বাচন করছি না। এলাকাবাসী চান এমন কেউ সভাপতি পদে আসুক যে ক্লিন ইমেজের শিক্ষানুরাগী। আমার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক। এলাকাবাসীর চাওয়ার ভিত্তিতে তিনি সভাপতি প্রার্থী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষক প্রতিনিধির স্বাক্ষর জোর করে নয় তিনি স্বেচ্ছায় দিয়েছেন। আর নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আপনি আমার বাড়ী দেখলে বুঝতে পারতেন। আমার যদি এত টাকা থাকত তাহলে আমি টিনের ঘরে বাস করতাম না। উপজেলার আটটি মাদরাসার মধ্যে তিনিই প্রথম তার মাদরাসায় ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছেন উল্লেখ করে বলেন, মাদরাসার উন্নয়নে আমার অবদান কতোটুকু তা এলাকাবাসী যানে। এখনও মাদরাসার ওয়াশরুমের এমন করুন দশা কেন জিজ্ঞেস করলে বলেন, নতুন চারতলা ভবন নির্বাণ হবে তাই এটা সংস্কার করা হয়নি। সভাপতি হলে নতুন নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, দুইটি নয় একটি ল্যাব সহকারী নিয়োগ হবে তবে এর জন্য কারও কাছ থেকে কোন আর্থিক লেনদেন করা হয়নি। এ তথ্য সঠিক নয়।
এ বিষয়ে মাদরাসাটির সুপার আবুল কালাম শিক্ষাবার্তা'কে বলেন, শিক্ষক প্রতিনিধিকে হাসান তুলে নেয়নি সে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করেছেন। হাসান সভাপতি থাকাকালে চার বছরে পাঁচটি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যেখানে প্রায় চল্লিশ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনের টাকা আপনি এবং হাসান মিলে নিয়েছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এরকম কিছুই হয়নি। হাসান সভাপতি হলে আরও দুই টা নিয়োগ দেবেন যার জন্য প্রায় দশ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যে চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। সুপার বলেন, দুই টা না একটি নিয়োগ হবে তবে কোন আর্থিক লেনদেন হয়নি।
মাদরাসার জমি প্রতিবছর লিজ দেওয়া হয় সেই টাকা মাদরাসা ফান্ডে জমা দেওয়া হয়নি। এই টাকা কোথায় যায় জিজ্ঞসে করলে আবুল কালাম বলেন, মাদরাসার জমির লিজের টাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়। গত কয়েকবছর ধরে মাদরাসার চারটি ওয়াশরুম নষ্ট হয়ে আছে তাহলে কোন খাতে উন্নয়ন করা হয় জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন করা হয়।
তবে বক্তব্য নিতে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আল মাসুদ এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার মােঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কোন ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অনিয়ম হলে তার অভিযোগ পেলে আমরা কমিটির অনুমোদন দেয়না। তদন্ত করে তার আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নির্বাচনে বল প্রয়োগ কিংবা অনিয়ম হলে অবশ্যই সেটা খতিয়ে দেখব।
উল্লেখ্য, হাসানুজ্জামান হাসান একই উপজেলার আয়নাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচন করে নির্বাচিত হন। তবে নির্বাচনে কারচুপি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধিমালার বেশ কয়েকটি ধারা লঙ্ঘন হওয়ায় সেই প্রস্তাবিত কমিটি পাঁচ মাসেও অনুমোদন দেয়নি ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। সম্প্রতি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে তদন্ত করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
আরও পড়ুনঃ
- এমপিওভুক্ত শিক্ষক কী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে পারবেন?
- এমপিওভুক্ত শিক্ষক হাসান, একাই একাধিক পদের অধিকারী
- শিক্ষাবার্তায় সংবাদ প্রকাশ: তদন্ত করল ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/৩০/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়