শিশুদের পদচারণায় মুখর শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। সারাদেশের শিশুদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড়ো শিশুদের নিয়ে উত্সব। ‘আমরা সবাই মঞ্চকুঁড়ি, নটনন্দনে ফুটবো’ স্লোগান নিয়ে গতকাল শুক্রবার শুরু হয়েছে ‘১৪তম জাতীয় শিশু-কিশোর নাট্য ও সাংস্কৃতিক উত্সব’।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় এ উত্সব উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের সুন্দর আগামী নির্মাণের জন্যই সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। এ ধরনের উত্সব আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশুরা নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি আরো বেশি দায়বোধ অনুভব করবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, আইটিআই বিশ্বকেন্দ্রের সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াকত আলী লাকী। শিশুদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শিশুশিল্পী টইটই হিলালী এবং সামিয়া মীম। উদ্বোধনী আলোচনা পর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হয় শিশুদের অংশগ্রহণে নান্দনিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
এর আগে বিকাল সোয়া ৫টায় মিলনায়তনের সামনের উন্মুক্ত লবিতে বেলুন উড়িয়ে উত্সবের সূচনা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সময়ে উন্মুক্ত মঞ্চে শিশুদের নিয়ে ছবি আঁকেন শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। শিশুরা গেয়ে শোনায় উত্সব সংগীত। পরে মিলনায়তনের ভিতরে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা পর্ব।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘সারাদেশের সব উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বছরের মধ্যেই অন্তত ১০০টি উপজেলায় সাংস্কৃতিককেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে।
মুস্তাফা মনোয়ার বলেন, ‘আমাদের শিশুরা যেন এখন বইয়ের ব্যাগ বইতে বইতে কুঁজো হয়ে যাচ্ছে। এটা যেন না হয়। শিশুরা যেন মনের আনন্দে নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটায়। এই উত্সবের সমাপনী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন করা হবে বলে জানান লিয়াকত আলী লাকী।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের যৌথভাবে আয়োজিত এ উত্সব চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। উত্সবে ৯৫টি শিশু নাট্যদল অংশ নিচ্ছে। নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি আটটি ভেন্যুতে প্রতিদিন ৮৫টি পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনে ৪০০ শিশু-কিশোরকে ‘মঞ্চকুঁড়ি তনয় শিশুপদক’ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি পদক প্রদান করা হবে উত্সবে অংশ নেওয়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রতিটি শিশুকে।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.