এইমাত্র পাওয়া

চবি শিক্ষক মাইদুলকে গবেষণা ছুটি দিতে ২৭৫ শিক্ষকের বিবৃতি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে বিদেশে গবেষণার জন্য ছুটি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় যে বিলম্ব করছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রাপ্য ছুটি দেয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭৫ জন শিক্ষক।

বিবৃতিতে বলা হয়, ফেসবুকে সামান্য একটি পোস্টকে ঘিরে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যৌথভাবে আইসিটি আইনে মামলা করে মাইদুলকে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল। এবার অভিযোগ উঠেছে ছুটির আবেদনপত্রের বিপরীতে প্রয়োজনীয় সভা না ডেকে বিভাগীয় সভাপ্রধান মাইদুলের বিদেশে যাবার সুযোগকে বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা করছেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদপত্রে প্রকাশ হয়েছে। বিলম্বের কারণে নেদারল্যান্ডসের লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি মাসে সেশন শুরু হয়ে গেলেও যোগদান করতে পারছেন না।

শিক্ষকরা বিবৃতিতে বলেন, মাইদুলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় তিনি তার পক্ষে উচ্চ আদালতের রায় পেয়েছেন এবং সাধারণ নাগরিক ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে তার সব ধরনের অধিকার ভোগ করতে আর কোনোই বাধা নেই। উচ্চ আদালতে মামলা স্থগিতের পর রায়ের কপিসহ বিভাগে ছুটির জন্য মাইদুল আবেদন করেন গত ৪ সেপ্টেম্বর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী এক্সট্রা অর্ডিনারি ছুটি নিয়ে বিদেশে যাবার আবেদন করার সাত কর্মদিবসের মধ্যে বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সভা করে সিদ্ধান্ত দেবার কথা। কিন্তু তার আবেদনের পর প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্ল্যানিং কমিটির সভার কার্য়কর উদ্যোগ নেয়া হয়নি বিভাগ থেকে। বিভাগীয় চেয়ারপার্সন পারভীন সুলতানা অপেক্ষা করছেন রেজিস্ট্রারের অনুমতির জন্য। রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, এটা বিভাগ থেকে উদ্যোগ নেবার বিষয়, রেজিস্ট্রারের এই পর্য়ায়ে করণীয় কিছু নেই।

শিক্ষকরা বলেন, ‘আমরা মনে করি, মাইদুল ইসলামকে হয়রানি করার মধ্য দিয়ে বিভাগের চেয়ারপার্সন বা বিভাগ তার উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ন্যায্য অধিকারকে রদ করছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও সংবিধানসম্মত নাগরিক অধিকারের পরিপন্থী। এ ধরনের খবর প্রকাশিত হয় আর বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সার্বিক ভাবমূর্তি জাতির কাছে চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়।’

অতি দ্রুত মাইদুলের ছুটি অনুমোদনের বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে এবং সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপ্রধান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং উপাচার্য় তাকে অবিলম্বে ছুটি প্রদানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে শিক্ষকরা মনে করেন।

চবির শিক্ষক মাইদুলের পক্ষে এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭৫ জন শিক্ষক।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading