বাকৃবি প্রতিনিধি তানিউল করিম জীম।।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বেগম রোকেয়া হলের অধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে অবস্থানরত ১ম বর্ষের ছাত্রীরা হলে সিট প্রাপ্তি এবং পানি সংকট নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টায় বেগম রোকেয়া হলের সামনে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করেন ওই শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ভর্তির সময় হলে সিট সংকট থাকায় বেগম রোকেয়া হলের অধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে ৫৭ জন ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এসময় তাদের তিন মাসের মধ্যে হলে ওঠার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও হলে যেতে পারেননি ছাত্রীরা। যার ফলে স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে পানি সংকটসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন আন্দোলনকারী ছাত্রীরা। এদিকে ২০১৬ সালের শেষের দিকে হলের কাজ অপূর্ণ রেখেই বেগম রোকেয়া হলে ছাত্রী উঠানো শুরু হয়। বর্তমানে ওই হলে ১ হাজার সিটের বিপরীতে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন ছাত্রী অবস্থান করছেন।
আন্দোলনকারী ছাত্রীরা বলেন, স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকার ফলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এখানে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র পানির সংকট। বাথরুমে পানি না থাকার কারণে তিন তলা থেকে নিচে নেমে এসে পানি নিয়ে যেতে হয়, যা আমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য কাজ। তাছাড়া এখানে প্রতিনিয়ত রোগীদের ভীড় থাকার কারণে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাছাড়া এখানে কোনো ডাইনিং ও ক্যান্টিন না থাকার কারণে খাওয়া-দাওয়ার অনেক সমস্যা হচ্ছে। হলে সিট সংকট থাকায় গণরুমেও জায়গা হয়নি আমাদের। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যেসব সুযোগ-সুবিধা আছে সেগুলো থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের সমস্যার কথা একাধিকবার প্রভোস্ট স্যারকে জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি। তারা শুধু আশ্বাস দিয়েই চলেছেন। আমাদের এখন একটাই দাবি সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলে উঠতে চাই।
এদিকে আন্দোলনের এক পর্যায়ে পানি সংকট ও আবাসন সংকট নিরসনে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. শহীদুল আলম, বেগম রোকেয়া হলের হাউজ টিউটর ড. এফ.এম. জামিল উদ্দিন এবং ঈশা খাঁ হলের প্রভোস্ট ড. মো. আশরাফুল হক উপস্থিত হয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে পানির পাইপে সমস্যা থাকার কারণে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি অতি দ্রæত সমাধানের জন্য কাজ চলছে। আর আবাসন সংকট নিরসনে হলের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার কাজ চলছে। নভেম্বরের মধ্যেই হলের সকল ছাত্রী সিট পাবে আশা প্রকাশ করছি।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.