নিবন্ধনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর তালিকা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের লেকচার গ্যালারিতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলাদেশ জার্নালের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা অনলাইনের নিবন্ধনের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছিলাম। আমরা খুব সহসা যেগুলো ভালো অনলাইন, প্রতিষ্ঠিতভাবে বহুদিন ধরে কাজ করছে, তাদের নিবন্ধন দিয়ে দেব। একইসাথে অনেকগুলো অনলাইনের ব্যাপারে তদন্ত শেষ হয়েছে এবং বাকিগুলোর ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা সেগুলোও নিবন্ধনের আওতায় আনবো। সব অনলাইনকে অবশ্যই নিবন্ধনের আওতায় আসতে হবে। কারণ নিবন্ধন না থাকলে দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে কিছুটা ঘাটতি থাকে। সেজন্য নিবন্ধিত হতে হবে।
বর্তমান সরকারের আমলে মিডিয়ার বিকাশ ঘটেছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে গণমাধ্যমের যে ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে বাংলাদেশে, সেটি খুব বেশি দেশে হয়নি। গত ১০ বছরে বাংলাদেশে টেলিভিশনের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি হয়েছে। অর্থাৎ ১০টি থেকে ৩৪টি। ১০ বছর আগে অনলাইন যেখানে হাতেগোনা কয়েকটি ছিল সেখানে এখন কয়েক হাজার। দৈনিক সংবাদপত্রের সংখ্যা সাড়ে ৭শ’ থেকে প্রায় ১৩শ’র কাছাকাছি।
সঠিক সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি সংবাদ পরিবেশন করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের মধ্যেই একটি প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে দেখা যায় অনেক সময় ভুল সংবাদ পরিবেশিত হয়। সংবাদ পরিবেশনের আগে যে পরিমাণ এডিটিংয়ের প্রয়োজন হয়, যে পরিমাণ চেক-কাউন্টার চেকের প্রয়োজন হয়, দ্রুত সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে সেটি অনেক সময় করা সম্ভব হয় না। এটি বিশেষত অনলাইনের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য। এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে অবশ্যই সঠিক সংবাদ সবার আগে পরিবেশন করবেন। কিন্তু সেটি যেন পুরোপুরিভাবে সঠিক হয়, সেদিকও লক্ষ্য রাখতে হবে।
গণমাধ্যমের গুরুত্ব তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণমাধ্যমের ভূমিকা রাষ্ট্রগঠনে, সমাজ গঠনে ও সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনার ক্ষেত্রে এবং দায়িত্বশীলদের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমারা মনে করি যে সমাজে সমালোচনা থাকে না, সেই সমাজ গণতান্ত্রিক সমাজ হতে পারে না। যে কোনো গণতান্ত্রিক সমাজের প্রধান বিষয় বিতর্ক এবং সমালোচনা। শেখ হাসিনার সরকার তর্কভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করে।
আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ জার্নালের প্রকাশ ড. আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বাসসের প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার মোজাম্মেল হক, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কবির আহম্মেদ, বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার, বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্সের সভাপতি আলমগীর হোসেন খান, বাংলাদেশ নিউজ পেপার মিডিয়া কম্পিউটার অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান, কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. এখলাসুর রহমান, পরিচালক অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.