এইমাত্র পাওয়া

বেকারত্ব কমাতে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বেকারত্ব কমাতে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিদ্যালয়বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতাকেন্দ্রিক সাক্ষরতা (স্কিলফো)’ পাইলট প্রকল্পের সফল সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় কাজ বা পেশা সম্পর্কিত শিক্ষার গুরুত্ব এখনো পায়নি। অথচ একটি দেশের উন্নয়ন ও টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন এমন নাগরিক, যারা শুধু বইয়ের জ্ঞানেই নয়, বাস্তব জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাতেও পারদর্শী।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কর্মমুখী করে তোলা যায়, তাহলে সমাজে বিভিন্ন ধরনের পেশাজীবীর সংখ্যা বাড়বে, যারা নিজেরা স্বনির্ভর হবে এবং অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তবে এটি সম্ভব করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন শিক্ষাব্যবস্থার মূল দৃষ্টিভঙ্গিতে আমূল পরিবর্তন আনা- যেখানে শিক্ষা মানেই কেবল ডিগ্রি নয়, বরং জীবন ও জীবিকার উপযোগী দক্ষতা অর্জন। এক্ষেত্রে স্কিলফোর সাফল্য প্রমাণ করে- আমরা চাইলে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা দিয়ে তরুণ সমাজকে নতুন জীবনের পথে নিয়ে যেতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি প্রকল্প এখন সমাপ্ত হলেও আগামীতে ১৬ জেলায় এটি চালু করা হবে। পরবর্তীতে এ মডেল কিছুটা সংশোধন করে দেশের ৬৪ জেলাতেই বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে।’

বিশেষ অতিথি ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘কম সাক্ষরতা ও প্রশিক্ষণহীন কিশোর-কিশোরীদেরকেও সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিলে তারা অর্থবহভাবে সমাজে অবদান রাখতে পারে। স্কিলফো তার বাস্তব প্রমাণ।’

অনুষ্ঠানে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘গণপ্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে এবং ইউনিসেফের কারিগরি সহায়তায় এ প্রকল্পটি কক্সবাজারের হোস্ট কমিউনিটিতে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৬৮২৫ জন স্কুলবহির্ভূত কিশোর-কিশোরীকে প্রাথমিক পর্যায়ের কারিগরি দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা শিক্ষা প্রদান করা হয়। এ মডেলটি বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।

এ পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষতাভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার এক নতুন দিগন্তে প্রবেশ করল, যা তরুণদের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৮/০৬/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading