এইমাত্র পাওয়া

‘বৈষম্যের শিকার নন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ নন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বৈষম্যের শিকার হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্মিলিত নন এমপিও ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক পরিষদ। বুধবার (৪ জুন) সকালে অনুষ্ঠিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক পরিষদের এক জরুরি সভায় এ উদ্বেগ জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক প্রিন্সিপাল মো. সেলিম মিঞা। সভাটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. মনিমুল হক।

সভায় সম্মিলিত নন এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক প্রিন্সিপাল মো. সেলিম মিঞা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের দুর্বার আন্দোলনের মুখে সরকার গত ১১ মার্চ শিক্ষক প্রতিনিধিদের সচিবালয়ে ডেকে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব মহোদয়ের সঙ্গে জেন্টলম্যান এগ্রিমেন্ট অনুয়ায়ী আন্দোলন স্থগিত করা হয়।

সরকার ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারিদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করছে উল্লেখ করে সেলিম মিঞা আরও বলেন, ১৫১৯ টি এবতেদায়ী মাদরাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৭২৮ কোটি টাকা এমপিওর বরাদ্দ রাখলেও স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি, কৃষি ও স্তর পরিবর্তনের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ উল্লেখ না করে সরকার পক্ষপাতিত্ব করছে, যেন এক চোখা দৈত্যের ভূমিকায় অবিতীর্ণ হয়েছে।

সংগঠনের মূখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুস্পষ্ট আশ্বাস ছিল মে- ২০২৫ সালেএর মধ্যে এমপিও কার্যক্রম সমাপ্ত করে জুলাই-২০২৫ মাস হতে বেতন-ভাতা ধরা হবে। এমপিও কার্যক্রমে প্রারম্ভিক ধাপগুলি অতিক্রম করেছে এখন শুধুমাত্র নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হলেই এমপিও ঘোষণা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, কতদিনের মধ্যে এমপিও দিতে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে তার কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা নাই। নেতৃবৃন্দ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বহুবার সাক্ষাৎ, ধর্ণা ও লবিং করেও জানতে পারেনি।

সংগঠনের অপর মূখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. নাজমুছ সাহাদাৎ আজাদী বলেন, দীর্ঘ সময় মানবেতর জীবনযাপনকারী নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বিশ্বাস অন্তবর্তীকালীন সরকার সচল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভূক্ত করে শিক্ষায় বৈষম্য দূরীভূত করবেন, দুর্দশা লাঘব হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের। কিন্তু সরকারের আশ্বাস এবং কালক্ষেপণ অসহায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বঞ্চিত করেছেন নায্য পাওনা থেকে।

এমন দুর্দিনে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্রের কুশীলবদের প্রতিহত করে সংগ্রামের ব্রত নিয়ে দাবি আদায়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে। এমপিও আমাদের অধিকার।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সরকার প্রতিশ্রুত নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্তি কার্যক্রমের চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং সর্বসম্মতক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সরকার তাদের দেয়া এমপিও’র প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ঈদ পরবর্তী সপ্তাহের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ পূর্বক সুষ্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে দ্রুত এমপিও কার্যক্রম আরম্ভ করতে কালক্ষেপন করলে আমরা রাজনৈতিক দল, ছাত্র সমন্বয়ক, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, অভিভাবক, ছাত্র সমাজসহ আপামর জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তুলে এমপিও আদায় করব ইনশাআল্লাহ।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. ইমরান বিন সোলায়মান, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. সাজ্জাদ হোসেন, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সালাম, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. আবতাবুল আলম, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ, সমন্বয়ক প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর মো. এরশাদুল হক, সমন্বয়ক প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান ও সমন্বয়ক সুপার মো. ফরহাদ হোসেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৬/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading