নিজস্ব প্রতিবেদক।। মিথ্যা তথ্য ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে খুলনায় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২৪-এর শ্রেষ্ঠ কর্মচারী মনোনয়নের অভিযোগ উঠেছে। এতে ই-নথির দক্ষতা না থাকলেও খুলনা পিটিআইর অফিস সহকারী কম্পিউটার অপারেটর শারমিন আক্তারকে অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কর্মচারী মনোনীত করা হয়। জানা যায়, জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় মূল্যায়ন ছকে ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ক্রমিকে ই-নথির মাধ্যমে নথি উপস্থাপন, নথি নোট লিখনে পারদর্শিতা ও বিদ্যমান বিধি বিধান সম্পর্কে ধারণা অর্জন ক্ষেত্রে শারমিন আক্তারকে পূর্ণ ২৫ নম্বর দেওয়া হয়। অথচ ই-নথি সংক্রান্ত আইডি না থাকায় খুলনা পিটিআইতে ই-নথি তথ্য উপস্থাপন বা এর মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের সুযোগ নেই।
এমনটি তার ব্যক্তিগত কোনো ইউজার আইডি ওই সময় ছিল না। এর আগে তিনি ই-নথির কোনো কাজ করেননি। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হলে শারমিন আক্তার সম্প্রতি ই-নথিতে কাজ করার জন্য ব্যক্তিগত ইউজার আইডি (২০০০০০৫০৮৯৮৯) খোলেন। অভিযোগ রয়েছে, খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) শেখ অহিদুল আলম ও পিটিআই সুপার মোল্যা ফরিদ আহম্মেদ অবৈধ যোগসাজশে ই-নথির দক্ষতা ছাড়াই শারমিন আক্তারকে শ্রেষ্ঠ কর্মচারী মনোনীত করেন।
মূল্যায়ন ছকে তাকে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৬ নম্বর দেওয়া হয়। জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় সদস্যসচিব হিসেবে মূল দায়িত্ব পালন করেন শেখ অহিদুল আলম।
এদিকে, মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কর্মচারী নির্বাচিত শারমিন আক্তার এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত শ্রেষ্ঠ কর্মচারী মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। খুলনায় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২৪-এর শ্রেষ্ঠ কর্মচারী বাছাইয়ে পক্ষপাতিত্ব অনিয়ম তদন্ত ও মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বঞ্চিতরা।
এ বিষয়ে পিটিআই সুপার মোল্যা ফরিদ আহম্মেদ জানান, পিটিআইতে ই-নথি ব্যবহারের সুযোগ না থাকলেও তার (শারমিন) পূর্বের অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত আইডি না থাকলে কীভাবে ই-নথির মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদানের অভিজ্ঞতা থাকে প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।
শিক্ষাবার্তা /এ/০৭/০৪/২০২৫
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.