এইমাত্র পাওয়া

‘অধ্যক্ষসহ শিক্ষকের ৭০টি পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র ১৯ জন’

সুনামগঞ্জঃ অধ্যক্ষসহ শিক্ষকের ৭০টি পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র ১৯ জন। তিনটি ভবনের দুটি ঝুঁকিপূর্ণ। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জোড়াতালি দিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। এ দুরবস্থা ছাতক সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের।

১৯৮১ সালে ছাতক টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপিত হয়। বর্তমানে এক হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিভাগে লেখাপড়া করছে। বছরের পর বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে জনবল সংকট থাকলেও অধিদপ্তর থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নানা সমস্যায় পাঠদানে আগ্রহ হারাচ্ছেন শিক্ষকরা। অমনোযোগী হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরাও।

আক্ষেপ করে কয়েকজন অভিভাবক জানান, কারিগরি শিক্ষার মূল হলো ব্যবহারিক ক্লাস। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও শিক্ষক না থাকায় সব ব্যবহারিক ক্লাস হয় না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভালো করছে না। কারিগরি শিক্ষায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কলেজে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে (টেক) ৬টি, ইনস্ট্রাক্টর (টেক) ৩টি, ইনস্ট্রাক্টর (ইংরেজি) ৩টি, ইনস্ট্রাক্টর (গণিত ও বিজ্ঞান) ২টি, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) ১৫টি, ধর্ম শিক্ষকের ২টি, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর ৫টি, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (ল্যাব) ২টি, অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরীসহ ৫১টি পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, হিসাবরক্ষক, স্টোরকিপারসহ কয়েকটি পদে কোনো লোকই নেই।

জনবল সংকট ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটিতে পর্যাপ্ত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। এসবের অভাবে ব্যবহারিক শাখার শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পাচ্ছে না। তিনটি ভবনের মধ্যে দুটি ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ফার্মমেশিনারি ওয়ার্কশপ ও ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ ভবনের ৭ হাজার স্কয়ার ফিটের জরাজীর্ণ শ্রেণি কক্ষে পাঠদান চলছে। ভবনগুলোর ভেতর ও বাইরের দেয়ালে ছোট-বড় অসংখ্য ফাটল। বর্ষায় ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। মেঝের গর্তে বিষাক্ত সাপের বসবাস।

ওয়েল্ডিং ট্রেড বিভাগের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম, শাহিন আলম, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার মাহবুবুল তামিম ও মো. সৈকত জানান, আগ্রহ নিয়েই ভর্তি হয়েছেন তারা। এসে বিপদে পড়েছেন। আছে শিক্ষক ও ভবন সংকট। প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এসব বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া দরকার।

অধ্যক্ষ প্রকৌশলী বেলাল হোসেন বলেন, শিক্ষক স্বল্পতা ও ভবনের সমস্যা বহু বছরের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বিষয়গুলো লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সমাধান হয়নি।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরিচালক (এডি) এনায়েত করিম বলেন, শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষের দিকে। নতুন ভবনের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। শিগগির কাজ শুরু হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০১/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.