এইমাত্র পাওয়া

সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও ল্যাবরেটরি স্কুলের সং*ঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক।। সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ঢাকা কলেজ ও গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলার স্টল ভাঙচুর করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সন্ধ্যার দিকে গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরি ও ঢাকা কলেজ উচ্চমাধ্যমিকের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর মধ্যে সিগারেট খাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের আবাসিক একদল শিক্ষার্থী লাঠি, রড ও স্টাম্প নিয়ে গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের অভ্যন্তরে হামলা চালায়। এ সময় তারা গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল কর্তৃক আয়োজিত ৭ম বিজ্ঞান মেলার স্টলগুলো ভাঙচুর করে।

পরে ঢাকা কলেজের অনার্সের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থেকে নিবৃত্ত করতে গেলে রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের রয়েল হাসান নয়নকে হেনস্তা করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সন্ধ্যার আগে ঢাকা কলেজের জার্সি পরা ২-৩ জনকে গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা করতে দেখি। কিছুক্ষণ পরে ঢাকা কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থী ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান গেট ভাঙচুর করে। এরপর ভেতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের সেভেন ন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্ট ভাঙচুর করেন। স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের হাতেপায়ে ধরে কান্না করলেও তারা ফেস্ট ভাঙচুর বন্ধ করেননি।

মারামারির সূত্রপাতের অভিযোগ ওঠা সাউথ হলের ঢাকা কলেজের উচ্চ-মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফফান বলেন, আমি আর মাহিসহ চারজন ল্যাবরেটরি স্কুলে সায়েন্সফেস্ট দেখতে গিয়েছিলাম। এ সময় ল্যাবরেটরির এক শিক্ষার্থীকে সিগারেট খেতে দেখে নিষেধ করি। এরপর তারা আমাদের মারধর করে।

সংঘর্ষের বিষয়ে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এইচ. এম মোস্তফা শেখ বলেন, আমিতো আজ বাইরে ছিলাম, তবে ঘটনার তদন্ত আমরা আগামীকাল শনিবার করব। ঢাকা কলেজ প্রশাসনের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ চলছে। যদি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অপরাধের প্রমাণ পায়, তাহলে আমরা প্রতিবাদ জানাবো। সেই সঙ্গে শাস্তির দাবি জানাবো।

এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.কে.এম ইলিয়াস বলেন, শুনেছি ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের কিছু শিক্ষার্থী ল্যাবরেটরি স্কুলের সায়েন্স ফেস্টে ভাঙচুর করে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। এটা আমাদের কাছে খুবই লজ্জাজনক। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আগামী রবিবার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বসে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।

নিউ মার্কেট থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহসীন উদ্দিন বলেন, দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ ও সায়েন্স ফেস্ট ভাংচুরের সূত্রপাত হয়। দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বলেছি শিক্ষার্থীর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading