নিজস্ব প্রতিবেদক।। উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারেনি সরকার। চাহিদার তুলনায় মাধ্যমিকে মাত্র ৬.৩৩ শতাংশ বই পেয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। বিগত বছরগুলোতে ১ জানুয়ারি ছাত্রছাত্রীরা নতুন বই পেয়ে খুবই আনন্দ পেত। কিন্তু এ বছর বই না পেয়ে হতাশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।
গত ২ জানুয়ারি মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির তিন বিষয়ের বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানরা পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে পারছেন না বলে জানান তারা। বছরের শুরুতেই নতুন বই ছাড়া পাঠদান শুরু হয়েছে। গত ১ জানুয়ারি থেকেই এই উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এতে হতাশায় ও দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও মাদরাসায় মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৯৫ জন। উপজেলায় ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বইয়ের চাহিদা ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৭৭৬টি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসেছে ৬ হাজার ৯০০টি বই।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত বেতাগী উপজেলায় মাধ্যমিকের শুধুমাত্র ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত এই তিনটি বিষয়ের ৬ হাজার ৯০০টি বই এসেছে। বছরের প্রথমে নতুন বই না পেয়ে হতাশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, বছরের প্রথমে নতুন বই দিতে না পারায় চিন্তায় রয়েছি।
এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শতভাগ বই এসেছে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির চাহিদা অনুযায়ী কোনো বই এখনো আসেনি।
তবে মাদরাসা পর্যায়ের বই পেতে আরো এক সপ্তাহ লাগতে পারে।
এদিকে মাদরাসা পর্যায়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে নতুন কোনো বই না পাওয়ায় হতাশ শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। এ বিষয় নিয়ে শনিবার বিকেলে মোবাইল ফোনে মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয়। তারা বই না পাওয়ায় হতাশ। রানীপুর গড়িয়াবুনিয়া এহছাকিয়া আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মাদরাসা পর্যায়ে এই উপজেলায় কোনো বই আসেনি। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা হতাশ।’
বেতাগী পৌর শহরের দারুল ইসলাম মহিলা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আগামী কিছুদিনের মধ্যে মাদরাসা পর্যায়ের নতুন বই পাওয়া যাবে।’
বেতাগী উপজেলা মাধ্যমিকের শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছে একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মাসুদুর রহমান। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত এই উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির তিন বিষয়ের বই এসেছে। তবে দুই তিন দিনের মধ্যে মাধ্যমিকের আরো কিছু বই আসবে।
শিক্ষাবার্তা /এ/০ ৫/০১/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.