নোয়াখালীঃ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) চিকিৎসাকেন্দ্রের বারান্দায় ভাঙচুর চালিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকেলে চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকার জেরে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খেলার মাঠে আঘাত পাওয়া মো. সাফায়েত নামের এক শিক্ষার্থীকে বিকেল সোয়া তিনটার দিকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান সহপাঠীরা। এ সময় চিকিৎসাকেন্দ্রটিতে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাকেন্দ্রের বারান্দায় ফুলের টব, কাচ ও ওজন পরিমাপের যন্ত্র ভাঙচুর করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসক না থাকায় আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা সহকারী মো. জাহিদ প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তাঁকে জেলা শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, বিকেল আনুমানিক তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১-এর তৃতীয় তলায় ফার্মেসি বিভাগের এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে চিকিৎসা দিতে সেখানে গিয়েছিলেন কর্তব্যরত জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ইসমত আরা পারভীন। আরেক চিকিৎসক মৌসুমি আক্তারও ডিউটির নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় চিকিৎসাকেন্দ্র ত্যাগ করেন। বিকেল তিনটা থেকে আরেকজন চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও তিনি চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর চালিয়েছেন।
চিকিৎসক ইসমত আরা পারভীন বলেন, তিনি এক ছাত্রীকে চিকিৎসা দিতে গিয়েছিলেন। বিকেল তিনটার পর সাহজাবীন স্বর্ণা নামের আরেক চিকিৎসকের ডিউটি থাকলেও তিনি গাড়ি না পাওয়ায় পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এর মধ্যেই উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আরিফুর রহমান বলেন, ভাঙচুরের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/১২/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.