এইমাত্র পাওয়া

বৈষম্য দূরীকরণে চাই একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়

।। ড.মাহরুফ চৌধুরী।। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছিল একটি বৈষম্যহীন ও স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্নে।

সেই স্বপ্নের ধারাবাহিকতায় ছাত্রসমাজের স্বপ্ন শিক্ষার নানাস্তরের ও নানারকমের বৈষম্যগুলো যে দূর হবে, তেমনি শিক্ষার নানা বিষয়েও প্রশাসনের স্বৈরাচারী মনোভাব ও আচরণ বিদূরিত হবে। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাস্তরের অনেক বৈষম্যের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ভুত একটি বৈষম্য হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অধিভুক্ত কলেজের প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ।

বিশেষত রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ খুবই সীমিত এবং নানাক্ষেত্রে তারা বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার শিকার। ঢাকার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কলেজ- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, কাজী নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ- বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। তবে এই অধিভুক্তি ছিল একটি ভুল সিদ্ধান্ত এবং অধিভুক্তির মাধ্যমে এপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার মানোন্নয়ন তো হয়ইনি, বরং সৃষ্টি হয়েছে সেসন জটসহ নানা জটিলতা।

বহু আগে (১লা জুন ২০০৯) ‘বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি বিকল্প প্রস্তাব’ শিরোনামের একটি লেখায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে আমি সে সময়কার ছয়টি বিভাগকে কেন্দ্র করে ছয়টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছিলাম। সম্পৃক্ত বিভাগের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠদানকারি সব কলেজগুলোকে নিয়ে এ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গঠন করার প্রস্তাব রেখেছিলাম। সে লেখায় আমি এটাও বলেছিলাম যে শিক্ষামন্ত্রণায়ের আওতাধীন কলেজগুলোকে কোন অবস্থায়ই আমাদের মূলধারার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধীনে নেয়া উচিত হবে না।

সে পরামর্শ উপেক্ষা করেই পরবর্তীতে ঢাকার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এই অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত এখন নানামুখী বৈষম্যসহ বিভিন্ন সমস্যার জন্ম দিয়েছে এবং ছাত্রদের মাঝে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে নানা ভোগান্তি ও হীনমণ্যতা থেকে বাঁচাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক শোষণ থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া উচিত। তাই বৈষম্য দূর করতে কলেজগুলোর জন্যে ঢাকায় একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা জরুরি হয়ে ওঠেছে।

উচ্চশিক্ষা কি সবার জন্যে উন্মুক্ত করা উচিত কিনা? অথবা দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ আরো সম্প্রসারিত করা উচিত কিনা? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নানা তর্কবিতর্ক চলতে পারে। সেসব নিয়ে আলোচনায় না গিয়ে আমার আজকের লেখাটা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবী বৈষম্য নিরসনের পক্ষে।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অধিভুক্ত সাতটি কলেজের উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করতে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলোর সাথে সেগুলোর শিক্ষার মানের সমতা বিধান করার জন্যে ফলপ্রসূ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বৈষম্য দূর করতে হবে, নয়ত অধিভুক্ত কলেজগুলোকে নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতে হবে।

এখানে বলে রাখা উচিত যে, অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেক বেশি টাকা গুণতে হয় বিভিন্ন ফি বাবদ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের সার্টিফিকেট ও শিক্ষার মানে নেই কোন সমতা। ঢাকার এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির আশায় যুক্ত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে। কিন্তু তাদের আশায় গুড়ে বালি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টাপ্রচেষ্টার পরেও একলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলধারার সমমানের শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনায় যাওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা জরুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানাভাবে অধিভুক্ত কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে থাকে। ২০১৭ সালে এই সরকারি কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনার সিদ্ধান্তটি কার্যকর হয়। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল যুক্তি ছিল শিক্ষা কার্যক্রমে মানসম্মত পরিবর্তন এবং প্রশাসনিক সুশাসন নিশ্চিত করা।

কিন্তু বাস্তবে এর ফলে তৈরি হয়েছে আরও নানাবিধ সমস্যা। অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেক বেশি ফি নির্ধারিত। উদাহরণস্বরূপ, পরীক্ষা এবং সার্টিফিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় ফি নিয়মিত ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় দ্বিগুণ বা তারও বেশি। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের তুলনায় নানা সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য প্রকোট। তাদের প্রাপ্ত শিক্ষা, গবেষণার সুযোগ, এমনকি সার্টিফিকেটেও পার্থক্য থেকে যায়।

তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছাত্র হিসাবে শিক্ষার সনদ পেলেও তাদের শিক্ষা লাভের সমান সুযোগ থাকে না। অপরদিকে তাদেরকে পড়তে হয় নানা প্রশাসনিক জটিলতায়। ফলে দেখা দিয়েছে সেসন জটের মত জটিলতা।

নানা বৈষম্যের শিকার হয়ে অধিভুক্ত এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সাধারণ ধারণা বা বিশ্বাসের জন্ম নেয় যে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ‘দ্বিতীয় সারির’ শিক্ষার্থী। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা, হীনমণ্যতা এবং অনুপ্রেরণার অভাব দেখা দেয়। কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, এবং গবেষণার সুযোগ পেয়ে থাকে। কিন্তু অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা এই সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত। এর ফলে শিক্ষার মান এবং কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থার নিশ্চয়তা দিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের উপর আরোপিত উচ্চ ফি, প্রাপ্ত নিম্নমানের শিক্ষা, এবং সময়মত শিক্ষা সমাপনের অনিশ্চিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজগুলোকে নিয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনিবার্য করে তুলেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস, রাজধানী ঢাকায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠদানকারী কলেজগুলোর জন্যে পৃথক একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্যহীন ও স্বৈরাচারমুক্ত রাষ্ট্র পুণর্গঠনের যে অঙ্গীকার নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে, সেই অঙ্গীকার রক্ষা করবে। প্রত্যাশিত নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাষ্ট্রীয় পরিচালনায় চলবে এবং ঢাকার অধিভুক্ত কলেজগুলো এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এপ্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যায়টির নাম হতে পারে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং যার জন্যে প্রাথমিকভাবে নতুন কোন অবকাঠামো তৈরী কিংবা অর্থ বরাদ্দের দরকার হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে, এ ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে উচ্চশিক্ষার এ জোট প্রতিষ্ঠানটি চালু করতে যেমন নানা রকমের প্রতিবন্ধকতা দেখা দেবে, তেমনি সুবিধাভোগি শ্রেণী নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চালুর এপ্রচেষ্টায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে কিংবা অসুবিধা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালাতে পারে। আর নানামুখী রাজনীতি ও অংশীজনের লাভ-ক্ষতির বিচারে সেটা হওয়াই স্বাভাবিক। সেসব বিষয়গুলো মাথায় রেখেই এগুরু দায়িত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।

এ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দূর করতে এবং উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। একটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কথা শুনে ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই। এই প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তেমন কোন অর্থকড়ি ব্যয় করতে হবে না। এ বিশ্ববিদ্যালয় হবে সরকারি কলেজগুলোর একটি জোট এবং সেটা শিক্ষামন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত থাকবে। তার অর্থ হল বর্তমান প্রশাসনিক ও আর্থিক কাঠামোয় কোন রকম পরিবর্তন আনতে হবে না।

সে যাই হোক, এবিশ্ববিদ্যালয়টি তার নিজস্ব শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কর্মকান্ড অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই স্বাধীনভাবে করবে। এবিশ্ববিদ্যালয়টি নিজস্ব একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ধীরে ধীরে ঢাকা বিভাগের অন্য সব কলেজের অন্তর্ভুক্তিকরণ, তাদের অনুমোদন প্রদান, পরিদর্শন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ, ফলাফল প্রকাশ ইত্যাদি দায়-দায়িত্বও নেবে। ফলে একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব আয়ের উৎস তৈরি হবে, অপর দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর চাপ কমবে এবং কলেজগুলোতে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটবে।

এ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু করতে হবে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি অধিভুক্ত কলেজ নিয়ে এটি যাত্রা শুরু করবে। পরের বছর ঢাকা শহরের সব কলেজগুলো এর আওতায় আসবে। সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হবে এ বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর।

কোন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নন, বরং কোন একজন অধ্যক্ষকে ভাইস চ্যান্সেলর ও অন্যান্য অধ্যক্ষকে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং উপাধ্যক্ষকে বিভিন্ন অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজন পড়বে না।

কারণ প্রতিটি সরকারি কলেজেরই রয়েছে নিজস্ব ভবন, কোন কোনটার আবাসিক হল ও শিক্ষক কর্মচারীর আবাসনের ব্যবস্থাও আছে। ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যে এমুহুর্তে কোন বরাদ্দের দরকার হবে না। ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও ডিনেরা নিজ নিজ কলেজে নিজস্ব অফিস থেকে তাঁর দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

 বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সরাসরি শিক্ষক বা কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদানে বিধান থাকবে না। দেশের বিভিন্ন কলেজ থেকে যোগ্য শিক্ষক বা কর্মকর্তাদেরকে পদোন্নতি বা বদলী করে নিয়ে আসতে হবে শিক্ষক বা কর্মকর্তাদের শূণ্যতা পূরণের জন্যে।

বিসিএস (শিক্ষা) মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তরাই কেবল এবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাবেন। এতে করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের নামে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি বা অনিয়মের সুযোগ থাকবে না। প্রয়োজনে এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষামন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় লোকবল সরবরাহের অনুরোধ জানবে এবং শিক্ষামন্ত্রণালয় দেশের অন্যান্য সরকারি কলেজগুলো থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন লোকবল নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবে।

তাছাড়া অন্যান্য সরকারি কলেজের শিক্ষক কর্মকর্তাদের মতই এবিশ্ববিদ্যালয়ের লোকবল, তাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা ভোগ করবেন, যেমনটি করছেন তাঁরা বর্তমানে। ফলে নতুন করে অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন পড়বে না এবং তাদের ও অন্যান্য সরকারি কলেজগুলোর শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে কোন রকম বৈষম্য থাকবে না।

ঢাকা মহানগরের উচ্চশিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ হতে পারে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তাই ঢাকা শহরের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুধু প্রয়োজনীয় নয়, এটি সময়ের দাবিও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরাই শুধু নয়, অন্যান্য স্নাতক ও স্নাতোকত্তর কোর্স প্রদানকারী কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরাও মানসম্মত উচ্চশিক্ষার সুযোগ এবং উন্নত শিক্ষাসেবা পাওয়ার অধিকার রাখে। তাই আমাদের প্রত্যাশা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে বৈষম্যহীন ও স্বৈরাচারমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণের অঙ্গীকার পূরণে একদাপ এগিয়ে যাবে।

লিখেছেন: ড. মাহরুফ চৌধুরী 

ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি, ইউনিভার্সিটি অব রোহ্যাম্পটন, যুক্তরাজ্য। 

শিক্ষাবার্তা /এ/২১/১১/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.