এইমাত্র পাওয়া

টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

নানান নাটকীয়তার পর অবশেষে শেষ হলো কোপা আমেরিকার ফাইনাল। ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকা জিতে নিল আর্জেন্টিনা।

দর্শক–বিশৃঙ্খলার কারণে প্রায় ১ ঘণ্টা ২২ মিনিট দেরিতে শুরু হওয়া আর্জেন্টিনা–কলম্বিয়া ফাইনালের নির্ধারিত ৯০ মিনিটেও ছিল নানা নাটকীয় ঘটনা। চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার অধিনায়কের জায়গায় মাঠে নামা নিকো গঞ্জালেস বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল বাতিল করেন রেফারি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশূন্য থাকা ম্যাচ গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে লাওতারো মার্তিনেজের ১১২ মিনিটের গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ত্রিমুকুট জিতেছে আর্জেন্টিনা। মহাদেশীয় শিরোপা, বিশ্বকাপ, আবার মহাদেশীয় শিরোপা—স্পেনের পর এই ত্রিমুকুট জেতা দ্বিতীয় দল এখন আর্জেন্টিনা।

দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে প্রথম আক্রমণটা করেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু এরপর থেকেই ম্যাচে শুরু হয় কলম্বিয়ার আধিপত্য। পুরো প্রথমার্ধেই আর্জেন্টিনার ওপরে ছড়ি ঘুরিয়েছেন হামেস রদ্রিগেজ–লুইস দিয়াজরা। আর্জেন্টিনাকে কোণঠাসা করে রাখা কলম্বিয়া ম্যাচে প্রথম সুযোগ পায় ৫ মিনিটে। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে লুইস দিয়াজের গড়ানো শট এমিলিয়ানো মার্তিনেজ সহজেই গ্লাভসে নেন। পরের মিনিটেই ডান প্রান্ত থেকে হামেস রদ্রিগেজের ছোট ক্রস থেকে বক্সের মধ্য থেকে ভলি করেন করদোবা, কিন্তু বল দূরের পোস্টে লেগে চলে যায় বাইরে।

এরপর ১৯ মিনিটে দি মারিয়ার দুর্দান্ত এক নিচু ক্রস থেকে বক্সের মধ্যে বল পান আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি। প্রথম স্পর্শটাই ছিল গোলমুখী তীব্র গতির শট। কিন্তু আর্জেন্টিনারই এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বলের গতি কমে যায়। কলম্বিয়ার গোলকিপার ভারহাস সহজেই বল গ্লাভসে নেন। ২৬ মিনিটে হালকা চোট পান মেসি। ক্রস করতে গিয়ে তাঁর পায়ে পা লাগে কলম্বিয়ান ডিফেন্ডারের। মাঠের বাইরেও চলে যেতে হয়েছিল। তবে একটু পরই মাঠে ফেরেন তিনি। ৪২ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি–কিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির ফ্রি–কিক থেকে তালিয়াফিকোর হেড চলে যায় বারের ওপর দিয়ে।

৬৩ মিনিটে দিয়াজের কাছ থেকে বল কেড়ে নিতে গিয়ে পেশিতে টান লাগে মেসির। মাঠে পড়ে যান তিনি। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার কিছুক্ষণ পর বাইরে চলে যান আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। তাঁর জায়গায় আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি মাঠে নামান নিকোলাস গঞ্জালেসকে। মাঠ ছাড়ার সময় হতাশায় বারবার মুখ ঢাকছিলেন মেসি। গ্যালারিতে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের চোখেমুখেও ছিল একই রকম হতাশা। একটু পর মেসি ডাগআউটে বসে কেঁদেওছেন।

এরপরই দারুণ এক সুযোগ পেয়ে যায় কলম্বিয়া। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে পারেনি তারা। উল্টো করদোবা ফাউল করেন ম্যাক অ্যালিস্টারকে। কিন্তু পায়ে ব্যথা পান করদোবাও। এ কারণে সম্ভাব্য পেনাল্টি চেক করেন রেফারি। পরে অবশ্য আর্জেন্টিনাকেই ফাউল দেন রেফারি।

সেই ফ্রিক–কিক থেকে কলম্বিয়ার বক্সের ঠিক বাইরে বল পেয়ে যান দি মারিয়া। তিনি বক্সের মধ্যে বল বাড়ান তালিয়াফিকোকে। তিনি বল দেন নিকো গঞ্জালেসকে, বল তিনি জালেও জড়ান। কিন্তু এর আগেই সহকারি রেফারি অফসাইডের জন্য পতাকা তোলেন। পরে ভিএআরেও দেখা গেছে তালিয়াফিকো ছিলেন অফসাইডে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এ/১৫/০৭/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading