আবুল কাসেম হায়দার: মেডিকেল শিক্ষা দেশের জন্য অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা খাত। আমরা ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতাম, বড় হয়ে একজন ডাক্তার হবো। অথবা একজন দক্ষ প্রকৌশলী হবো। সে ইচ্ছায় আমি যখন এইচএসসি পাস করি, তখন মেডিকেলে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলাম। বরিশাল মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগও পেয়েছিলাম। বরিশাল অনেক দূর। ঢাকা বা চট্টগ্রামের কোনো মেডিকেল কলেজ নয়। ভর্তি হলাম না। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন আমার শেষ হয়ে গেল। পরে ১৯৭২-৭৩ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মৃত্তিকা বিজ্ঞানে ভর্তি হলাম। তখন অবশ্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল না। শুধু সরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল।
মেডিকেল কলেজ সংখ্যা ও ছাত্রছাত্রী: বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে ৩৭টি। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা হচ্ছে ৭০টি। সরকারি মেডিকেল কলেজে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে ৯০ হাজার। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে ৬ হাজার ২৯৫ জন। সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা হচ্ছে ৫ হাজার ৩৮০। বেসরকারি ৭০টি মেডিকেল কলেজ আসন সংখ্যা হচ্ছে ৬ হাজার ২৯৩।
বেসরকারি মেডিকেলে শিক্ষার্থী সংকট: বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো শিক্ষার্থীর সংকটে পড়েছে। আজ (৫ জুলাই) প্রথম বর্ষ এমবিবিএস ক্লাস শুরু হয়েছে। কিন্তু কলেজগুলোয় এক হাজারের বেশি আসন খালি আছে। উপায় খুঁজতে এক সভা ডেকেছে কলেজ মালিকদের সংগঠন।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর একটি অংশের অভিযোগ, শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থানের কারণে কলেজগুলো শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ভালো, তাদের শিক্ষার্থীর অভাব নেই, আসন খালি নেই। বাজারে যাদের সুনাম নেই, তারা শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। মেডিকেল শিক্ষার মান ঠিক রাখতে হলে কঠোর ভর্তি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তা শুরু করতে হবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর আয়ের অন্যতম বড় উৎস শিক্ষার্থী ভর্তির অর্থ। একজন শিক্ষার্থী ভর্তি করে কলেজ ফি বাবদ পায় ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। কোনো কোনো কলেজ ভর্তি থেকে আয় করে বছরে ২০ কোটি টাকার বেশি। অভিযোগ আছে, ভর্তির ব্যাপারে কলেজগুলো যতটা মনোযোগ দেয়, শিক্ষার ব্যাপারে তা দেয় না।
জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বে-নজীর আহমেদ বলেন, দেখা গেছে বেসরকারি মেডিকেল থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা অনেকে চিকিৎসা পেশাতেই আসেন না। তারা উচ্চতর ডিগ্রি বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভালো করেন না। বাবা অনেক টাকা খরচ করে এখন বেসরকারি কলেজে সন্তানদের ভর্তি করাতে চাচ্ছেন না বলে তিনি মনে করেন।
পরিস্থিতি কী: বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খান বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় ১ হাজার ২০০ আসন খালি আছে। এর মধ্যে মেধাবী দরিদ্র ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের আসনও আছে। মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ভর্তি করা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৭টি, এর আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৩৮০। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ৬৭টি, এগুলোর আসন সংখ্যা ৬ হাজার ২৯৩। এর মধ্যে দেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আসন ৩ হাজার ৫৫১টি। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ২ হাজার ৭৪২টি আসন। দেশি-বিদেশিদের জন্য বরাদ্দকৃত আসনের ১৯ শতাংশ খালি আছে বলে এম এ মুবিন খান দাবি করেছেন।
দেখা গেছে বেসরকারি মেডিকেল থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা অনেকে চিকিৎসা পেশাতেই আসেন না। মা-বাবা অনেক টাকা খরচ করে এখন বেসরকারি কলেজে সন্তানদের ভর্তি করাতে চাচ্ছেন না।
সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি শেষ হওয়ার পর বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়। সরকারি-বেসরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুসারে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। মেধাক্রমের ওপরের দিকে থাকা শিক্ষার্থীরা ভালো কলেজে ভর্তি হন। কথাগুলো বলেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বে-নজীর আহমেদ।
কেন কিছু কলেজ সংকটে: রাজধানীর ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজে আসন ১২০টা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ কলেজে একটা আসনও খালি নেই। কলেজটি ইতোমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। এরকম আরও বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীর সংকট নেই। সংকটে পড়েছে সেসব কলেজ, যাদের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নেই, নেই হাতে-কলমে শিক্ষার ব্যবস্থা। এগুলোর সংখ্যা বেশি। এরা শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। এরা ইচ্ছা করলেই শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারছে না। কারণ, এমবিবিএস ভর্তিপ্রক্রিয়া এখন পুরোপুরি ডিজিটাল হয়েছে। কোন মেধাক্রমের শিক্ষার্থী কোন কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন, কোন কলেজ কোন মেধাক্রমের শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাচ্ছে, তা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগে জানাতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত একটি কাগজে বলা হয়েছে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম হতে দেখা গেছে। ৭ হাজার মেধাক্রমে থাকা শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে মেধাক্রমের ৭০ হাজার অবস্থানের শিক্ষার্থীকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানোর নজির আছে। ভর্তিপ্রক্রিয়া ডিজিটাল হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের হয়রানি, অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের পথ বন্ধ হয়েছে। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময়। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর একটি অংশ বলছে, বিদ্যমান ভর্তিপ্রক্রিয়ার কারণে তারা শিক্ষার্থীর সংকটে পড়েছে। এ সংকট উত্তরণের চেষ্টা চলছে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা মানসম্পন্ন মেডিকেল শিক্ষা চাই। সবারই এটাই মেনে চলা উচিত।’
কেন শিক্ষার্থী সংকট: দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অটোমেশন শিক্ষার্থী সংকটের প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)।
তারা বলেছে, দেশকে ডিজিটাইজেশনের ধারাবাহিকতায় ভর্তি প্রক্রিয়া অটোমেশন করা হয়েছে। কিন্তু এ পদ্ধতি হিতে বিপরীত হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের বাস্তবতায় এর পরিবর্তন ও পরিবর্ধন প্রয়োজন।
তবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা শুধু অটোমেশনকে শিক্ষার্থী না পাওয়ার কারণ হিসেবে মানতে রাজি নন জানিয়ে বেসরকারি মেডিকেলের মানোন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিপিএমসিএ আয়োজিত ‘বেসরকারি স্বাস্থ্য শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ভর্তি প্রক্রিয়ায় চলমান শিক্ষার্থী সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব তথ্য উঠে আসে।
সভায় লিখিত বক্তব্যে বিপিএমসিএ সভাপতি এমএ মুবিন খান বলেন, অটোমেশন প্রক্রিয়ায় মেধাবী ছাত্রছাত্রী ঝরে যাচ্ছে। অনেকের ইচ্ছার বিপরীতে বিভিন্ন জায়গায় ভর্তি করায় ছাত্রছাত্রীরা তাদের মনোযোগ হারিয়ে পড়াশোনা থেকে ঝরে যাচ্ছে। ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটাল করতে গিয়ে অনেক জটিল প্রক্রিয়ার অবতারণা করা হচ্ছে, যার বলি হচ্ছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যবস্থা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি বছর এমবিসিএস কোর্সে ১১ হাজার ৫৮৮টি আসনে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৩৮০টি। ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৬ হাজার ২০৮টি। এর মধ্যে দেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ হাজার ৬৫৭টি আসন বরাদ্দ আছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আসন বরাদ্দ আছে ২ হাজার ৫৫১টি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অটোমেশনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারে না। অটোমেশন চালুর দু’বছরে বেসরকারি কলেজে আবেদন পড়েছে মোট আসনের সমপরিমাণ বা তার কিছু বেশি। এমনিতে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুক ছাত্রছাত্রীর আবেদনের সংখ্যা কম, তাহলে অটোমেশনের যৌক্তিকতা কি? বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির কোটা ৫০ শতাংশে উন্নীত করা গেলে ২০০ কোটি টাকার অধিক রেমিট্যান্স আসবে বলে দাবি তাদের।
সভাপতি এমএ মুবিন খান বলেন, বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য মাত্র ৭ দশমিক ২৬ জন ডাক্তার আছেন; যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিচের দিক থেকে দ্বিতীয়। এ স্বল্প সংখ্যক ডাক্তার তৈরিতে বেসরকারি খাতের বড় অবদান রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি পদ্ধতিগত ভুলের কারণে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তিতে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।
অটোমেশনের নামে প্রাইভেট মেডিকেল সেক্টর ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, চলতি বছর বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ১ হাজার ২০০ আসন খালি রয়েছে। গত দু’বছরে ২০ শতাংশের ওপরে আসন খালি। এমনকি গরিব মেধাবী কোটায়ও ছাত্রছাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। অটোমেশনের কারণে শিক্ষার্থীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।
এ সময় কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে বিপিএমসিএ। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার গুণমান মূল্যায়নে নিয়মিত মনিটরিং ও মূল্যায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত করা এবং ঘাটতিগুলো সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অবকাঠামো উন্নত করতে আধুনিক শিক্ষাদান প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ এবং যোগ্য অনুষদ সদস্যদের নিয়োগের জন্য বেসরকারি আর্থিক সহায়তা দানের কথা বলেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, শুধু অটোমেশনের জন্য শিক্ষার্থী আসছে না, তা হতে পারে না। এর অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমি তাদের ঘাটতিগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য কাজ করার পরামর্শ দেব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি মেডিকেল করতে হলে আগে হাসপাতাল তৈরি করতে হবে। রোগীরা মেডিকেল শিক্ষার্থীর শেখার ল্যাবরেটরি। হাসপাতাল ঠিকমতো রান করলে পরে মেডিকেল কলেজের অনুমতি হওয়া উচিত। যাদের পড়াব তারা মানসম্মত চিকিৎসক তৈরি হবে কি না তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
বেসরকারি মেডিকেলে শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রসঙ্গ ১. দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান নিয়ে বেশ আলোচিত। সার্বিক শিক্ষার মান হ্রাস পাওয়ার কারণে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এর প্রভাব পড়েছে।
২. মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নের একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ সংস্থা থাকা প্রয়োজন। এ সংস্থা বেসরকারি-সরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নে কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। এ সংস্থাকে মেডিকেল কলেজে অনিয়মের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এতে সংস্থাটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে।
৩. মেডিকেল শিক্ষাকে আধুনিক করার জন্য নিয়মিত শিক্ষা কারিকুলামে উন্নত করার নিয়ম থাকতে হবে। প্রতিটি শিক্ষাবর্ষ পর কারিকুলামের উন্নয়নে গৃহীত কার্যক্রমের রিপোর্ট প্রদানের নিয়ম রাখতে হবে।
৪. যখন, তখন, যে কোনো সময়ে শুধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়া বন্ধ করতে হবে। জাতীয়ভিত্তিক জরিপ করার পর মেডিকেল কলেজ প্রয়োজন কি না, তা নিশ্চিত করে নতুন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমোদন নিশ্চিত হওয়া উচিত।
৫. কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে মেডিকেলে ভর্তির নিয়ম অব্যাহত রাখা উচিত। কঠিন, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া মেডিকেলে ভর্তি করার সুযোগ কখনও দেয়া উচিত হবে না।
৬. মেডিকেলে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। একজন মেডিকেল ছাত্রছাত্রীর জন্য কত টাকা খরচ হয়, তা নিশ্চিত করে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি ফি ও মাসিক ফি নির্ধারণ করা উচিত। তখন দেখা যায় অনেক মেডিকেল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সময় লাখ লাখ অর্থ আদায় করছে। এই বিষয়টি সরকারকে বিশেষ বিবেচনায় নেয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার মান অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে এবিসি তিনটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করে ফি নির্ধারণ করা যেতে পারে। সব সরকারি মেডিকেল হবে এ ক্যাটেগরি। দ্বিতীয় বি ক্যাটেগরি ও অন্যান্য ‘সি’ ক্যাটেগরি। সেই অনুযায়ী বি ও সি ক্যাটেগরি কলেজের ফি সরকারকে নির্ধারণ করে দিতে হবে।
লেখকঃ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, আইএফআইএল, অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম
মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৫/০৭/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.