ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার বাস চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে এ দু’দিন পরীক্ষা থাকলে স্বাভাবিক সময়েই দুর্ভোগে পড়তে হয় দুরবর্তী স্থানে থাকা শিক্ষার্থীদের। বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র দাবদাহ। এরই মধ্যে বাস বন্ধের দিন শনিবারে পরীক্ষার তারিখ রাখা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উদ্বেগ প্রকাশ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে শোকজ করা হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ওই শিক্ষার্থীকে কল দিয়ে মৌখিকভাবে শোকজ করেন আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ। তাকে আগামী সাত দিনের মধ্যে হাজির হিয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলেন তিনি।
শোকজ পাওয়া মুনমুন মাহজাবিন আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিভাগটি ওই বর্ষের ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভ (সি আর) বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সময়সূচি অনুযায়ি আগামী ৪ মে এবং ২৫ মে ঢাবির আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দুটি ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ওই দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে গত শনিবার (২১ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি স্টাটাস দেন।
সেখানে তিনি লিখেন, ‘এই গরমে যখন দিন দুনিয়া বন্ধ করে দিচ্ছে, তখন প্রিয় ডিপার্টমেন্ট ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে। সে দিক, সমস্যা নেই। কিন্তু দুইটা পরীক্ষা দিয়েছে শনিবারে। মানে যেদিন ইউনিভার্সিটির বাস বন্ধ। সুদূর উত্তরা, টঙ্গী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর থেকে আমরা ৪২° সেলসিয়াসে লোকাল বাসে ঝুলে ঝুলে আসবো, চিন্তা করেই আনন্দ লাগছে।’
এরই প্রেক্ষিতে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ তাকে কল দিয়ে শোকজ করেন এবং লিখিতভাবে এর কারণ ব্যাখ্যা করতে বলেন।
এ ব্যাপারে জানতে মুনমুন মাহজাবিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে শোকজের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এর ব্যাপারে লিখিত জবাব দিয়েছি।’ তবে অন্য কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি ।
বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মুনমুনের লিখিত জবাবসহ এ শোকজের বিষয়টি নিয়ে আলাদা একটি ফাইল করা হয়েছে। এ বিষয়টি শুধু বিভাগের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলেই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটেও তোলা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে ঢাবির আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে তার মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরিকে কল দিলে তিনি ‘এ ব্যাপারে আমি বিস্তারিত পরে জানাবো’ বলে কল কেটে দেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সারা দেশের উপর দিয়ে প্রবাহমান তীব্র দাবদাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাবির প্রচলিত ১০ শতাংশের পরিবর্তে শতভাগ অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ সময়ে পরীক্ষাসমূহ যথারীতি চলমান থাকবে বলেও জানানো হয়।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৩/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.